খুলনায় এক যুগেও হয়নি সড়ক সংস্কার, দুর্ভোগে মানুষ

1688810584.U.jpg

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট….
দীর্ঘ একযুগ ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কার না হওয়ায় খুলনা-যশোর মহাসড়কের ফুলবাড়ী গেটের তেলীগাতি-কেডিএ বাইপাস সংযোগ সড়কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সড়কটি এখন ওই এলাকার মানুষের কাছে মরণফাঁদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

প্রায়ই দুর্ঘটনার কারণে এই সড়কে চলাচলরত যানবাহনের যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। আহত হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
গত কয়েক দিনে টানা বৃষ্টির পানিতে সড়কের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি কাদামাটি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে মাঝে মধ্যে অটোরিক্সা ও মোটরসাইকেল উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।

গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের সামনে থেকে তেলিগাতী পাকারমাথায় হয়ে কেডিএ সিটি বাইপাসের সড়কের প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ স্থানের কার্পেটিং এবং খোয়া উঠে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।

সংযোগ সড়কটি দিয়ে শতশত যানবাহন এবং স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়,সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়, এইচএসটিটিআই, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার, খুলনা মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টিটিসি খুলনা, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, জনতা ব্যাংক কুয়্টে কর্পোরেট শাখা, কুয়েট পোস্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি।

জানা যায় এলজিইডি দুই বছর আগে এই সড়ক সংস্কারে একটি প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠালেও তা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। সংস্কার কাজটি ব্যয়বহুল হওয়ায় তা অনুমোদন হয়নি।

কুয়েট অ্যাপ্রোচ সড়কের উন্নয়ন কাজে ফুলবাড়ী গেট হতে গভ.ল্যাবরেটরি হাই স্কুল পর্যন্ত ১১৮৫ মিটার দৈর্ঘ্য সড়কের উন্নয়ন কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। ল্যাবরেটরি স্কুলের সামনে থেকে কেডিএ বাইপাস সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থায় রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ীগেট-তেলিগাতী পাকারমাথা পর্যন্ত সড়কটি বর্ধিত করে ২০১০ সালে খুলনা মংলা হাইওয়ে কেডিএ বাইপাসের সড়কের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়। শহরের যানবাহনের চাপ কমাতে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(কেডিএ) সোয়া এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩০ ফুট চওড়া এই সড়কটি নির্মাণ করে। নির্মাণের পর এটির রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কাছে হস্তান্তর করে। নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও কোনো সংস্কার কাজ না করায় সড়কের অধিকাংশ স্থানের কার্পেটিং এবং খোয়া উঠে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজন পরশ জানান, এই সড়কটিতে প্রায়ই ইজিবাইক, মটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ভ্যান-রিক্সাসহ ছোট যানবাহনগুলো উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনা হচ্ছে।

এ বিষয়ে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু তারেক সাইফুল কামাল বলেন, সড়ক একাধিক বার সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। দীর্ঘ এই সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এটির সংস্কার কাজের জন্য দুই থেকে সোয়া দুই কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। আশা করছি জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ে করা হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top