বিনোদন ডেস্ক : ঢালিউড অভিনেতা বুলবুল আহমেদের চিরবিদায়ের দিন আজ। ১৪ বছর আগে গুণী এ অভিনেতা আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে যান। ২০১০ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এ মহানায়ক।
১৯৭৭ সালে ‘সীমানা পেরিয়ে’, ১৯৭৮ সালে ‘বধূ বিদায়’, ১৯৮০ সালে ‘শেষ উত্তর’ ও ‘১৯৮৭ সালে ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে নেন। অভিনয়ের জন্য বুলবুল আহমেদ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।
সত্তর-আশির দশকে যে কয়েকজন সুদর্শন নায়ক বাঙালি দর্শকদের মন জয় করেছিলেন, তরুণীদের হৃদয়ে স্বপ্নের পুরুষ ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বুলবুল আহমেদ। তিনিই ঢালিউডের প্রথম ‘মহানায়ক’— এমনকি ‘দেবদাস’ও।
ঢাকাই সিনেমাজগতের একসময়ের সাড়াজাগানো নায়ক বুলবুল আহমেদের জন্ম ১৯৪১ সালে পুরান ঢাকায়। দারুণ মেধাবী ছিলেন তিনি। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার কলেজিয়েট স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনার পাট চুকিয়ে তিনি একটি ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন। চাকরির পাশাপাশি শুরু করেন টিভিতে অভিনয়। বুলবুল আহমেদ অভিনীত প্রথম টিভি নাটক ছিল আবদুল্লাহ আল-মামুনের পরিচালনায় ‘বরফ গলা নদী’। এ ছাড়া তার উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকগুলো হচ্ছে— ‘মালঞ্চ’, ‘ইডিয়েট’, ‘মাল্যদান’, ‘বড়দিদি’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’। ধারাবাহিক ও খণ্ডনাটক মিলিয়ে চার শতাধিক নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। বুলবুল আহমেদ অভিনীত সর্বশেষ টিভি নাটক ছিল ২০০৯ সালে শুটিং করা ‘বাবার বাড়ি’।
অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক হিসেবে সফলতা পান বুলবুল আহমেদ। তার পরিচালিত ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘আকর্ষণ’, ‘গরম হাওয়া’, ‘কত যে আপন’ ছবিগুলো আলোচিত হয়েছে।