খুলনা সিভিল সার্জনের গড়িমশি : বেতন পাচ্ছেন না আউটসোর্সিং কর্মচারীরা

image-788561-1711300151-1.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক:  খুলনা সিভিল সার্জন অফিসের ২১৪ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দীর্ঘ ১০ মাস তারা বিনা বেতনে কাজ করছে। দাপ্তরিক জটিলতার অজুহাত দিয়ে বেতন আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার ও কর্মচারীরা। এ নিয়ে কর্মচারীরা বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও সুরাহা পাচ্ছে না।

খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ শ্রেণির জনবল সংকটের কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরে খুলনায় ২১৪ জনকে আউট সোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দিতে দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী কাজ পায় মেসার্স তাকবীর এন্টারপ্রাইজ। জেলার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং খুলনা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন পদে তাদের কাজে পদায়ন করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে কর্মচারীকে ১৬ হাজার ১৩০ টাকা ও সিটির মধ্যে প্রত্যেক কর্মচারীকে ১৬ হাজার ৬২০ টাকা হারে পরিশোধ করার শর্ত ছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ জুন পর্যন্ত ১০ মাসের বেতন পেয়েছে এসব কর্মচারী। তবে গত ১০ মাস ধরে তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না।

সূত্রটি জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আউটসোর্সিং জনবল কার্যাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি হওয়া পর্যন্ত সেবাকার্যক্রম চালু রাখার নির্দেশ দেন তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ। কিন্তু তার বদলির পর বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সজিবুর রহমান কাজে মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রদানে কালক্ষেপণ করেন। আউটসোর্সিং কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন না দেওয়ায় ১০ মাস ধরে বেতন পায়নি ২১৪ জন কর্মচারী। এই অনুমোদন দেওয়া নিয়ে সিভির সার্জনের মধ্যে দেখা দিয়েছে গড়িমশি।

খুলনা সিভিল সার্জন সজিবুর রহমান বলেন, আমার গাফিলতি বা গড়িমশির বিষয়টি সঠিক নয়। নবায়নের ক্ষেত্রে ঠিকাদারের বেশ কিছু কাগজপত্রের ঘাটতি ছিল। সেগুলো আপডেট করে নিয়ে আসতে সময় লেগেছে। যে কারণে নবায়নের অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো যাচ্ছিল না। তিনি বলেন, আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতদের বেতন সাধারণত এক সঙ্গেই আসে। এক্ষেত্রে খুব বেশি দেরি হয়নি। আশা করছি শিগগিরই অর্থ ছাড় হয়ে যাবে।

Share this post

scroll to top