খুলনার দর্পণ ডেস্ক : ভারতের কয়েকটি রাজ্যে হাওয়াই মিঠাই নিষিদ্ধ করেছে। বিশ্বজুড়ে শিশুদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় চিনি দিয়ে এ খাবারটির মাধ্যমে ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে বলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলনাড়ু প্রদেশে হাওয়াই মিঠাইয়ের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষা করে ক্যানসার তৈরির উপাদান পাওয়া যায়। এরপরই সেখানে হাওয়াই মিঠাই বেচাকেনা নিষিদ্ধ করে প্রদেশটির সরকার।
হাওয়াই মিঠাই ভারতে বুড়ি-কা-বাল (বৃদ্ধা মহিলার চুল) নামেও পরিচিত। এটি বিনোদন পার্ক, মেলা এবং শিশুরা ঘন ঘন যায় এমন স্থানে সহজেই পাওয়া যায়।
তামিলনাড়ুর চেন্নাই শহরের ফুড সেফটি অফিসার পি সতীশ কুমার ভারতীয় সংবাদপত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, হাওয়াই মিঠাইয়ে থাকা রাসায়নিকগুলো ক্যানসার তৈরির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ভারতে হাওয়াই মিঠাইগুলো বিভিন্ন বিক্রেতারা নিজ উদ্যোগে তৈরি করেন। তাদের কারওই এ খাবার তৈরির অনুমোদিত কারখানা নেই।
তিনি বলেন, তার দল গত সপ্তাহে শহরের একটি সমুদ্র সৈকতে হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতাদের ওপর অভিযানও চালায়। তাদের কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা ল্যাব পরীক্ষায় দেখা যায় হাওয়াই মিঠাইকে গোলাপি রঙে রাঙাতে রাসায়নিক যৌগ রোডামিন-বি ব্যবহার করা হয়।
এই রাসায়নিক যৌগটি সাধারণত কাপড়, প্রসাধনী এবং কালির রঙ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা মানুষের দেহে প্রবেশ করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে ইতোমধ্যেই খাবারের রঙ হিসেবে রোডামিন-বি এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গ রাজ্য।
তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমএ সুব্রামানিয়ান বলেছেন, রোডামিন-বি কোনো খাবারের প্যাকেজিং, রপ্তানি, বিক্রি করা, বা রোডামিন-বি যুক্ত খাবার বিয়ে অথবা অন্যান্য অনুষ্ঠানে সরবরাহ করা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট, ২০০৬ এর আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস চলতি সপ্তাহে জানিয়েছে, ভারতের রাজধানী দিল্লির ফুড সেফটি অফিসারও হাওয়াই মিঠাই নিষিদ্ধ করার জন্য জোর দিয়েছেন।
হাওয়াই মিঠাই খেলে হতে পারে ক্যানসার
