যুবদল নেতা টুকুর নির্দেশনায় ট্রেনে নাশকতা : সিটিটিসি

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশনায় গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইন কেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে নাশকতা চালানো হয়েছে।
আর এ ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির মূল হোতা ছিলেন। এ কাজে সরাসরি অংশ নেন গাজীপুর মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইমন হোসেন। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে কাটার ও রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
সিটিটিসি প্রধান জানান, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কাছে থেকে রেললাইন কাটার নির্দেশনা পান কবির। নির্দেশনা মোতাবেক সে গাজীপুরে ছাত্রদলের দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে। একজন আজিম উদ্দিন কলেজের ছাত্রদলের আহ্বায়ক তোহা, আরেকজন গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ দু’জনকে দায়িত্ব দেয়া হলে স্থানীয় এক কাউন্সিলরের বাসায় এরা দু’জন মিটিং করেন।
প্রাথমিকভাবে তাদের উদ্দেশ্য ছিল নাট-বল্টু খুলে রেল চলাচলে বিঘœ ঘটানো। কিন্তু কয়েকবার চেষ্টা করে সেটি করতে পারেনি। তাই কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সিটিটিসি জানায়, কবির প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে যে, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১০টি নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও সে লেগুনা হেল্পারকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে গাজীপুরের ভাওয়াল ও রাজেন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে ফেলায় নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে ট্রেনযাত্রী আসলাম মিয়া নিহত ও লোকোমোটিভ মাস্টারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে গত ১৪ ডিসেম্বর ওই ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা তিনটি কমিটি গঠন করা হয়।