গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের দায়িত্ব ইসরায়েলের নয় : ফ্রান্স

Untitled-7-copy-4.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভবিষ্যত নির্ধারণ ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করে না বলে মন্তব্য করেছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথরিন কোলোনা। শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি মন্ত্রীদের পরামর্শকে প্রত্যাখ্যান করে ক্যাথরিন কোলোনা বলেন, গাজার বাইরে ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘আমাদের একটি সমাধান থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে’ এবং ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের বিরুদ্ধেও।
কোলোনা বলেন, ‘সংকট সমাধানে আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনের নীতিতে ফিরে আসতে হবে এবং এটিকে সম্মান করতে হবে’।
একটি দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য ফ্রান্সের সমর্থন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একমাত্র কার্যকর বিকল্প’ এবং ‘গাজা এবং পশ্চিম তীরকে অবশ্যই ভবিষ্যতের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অংশ হতে হবে।’
কোলোনা বলেন, বেসামরিক নাগরিকরা অপরাধের জন্য দায়ি নয় এবং তাদের অবশ্যই রক্ষা করা উচিত, আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ এবং বেসামরিক জনসংখ্যাকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, লেবানন এবং লোহিত সাগরের মতো প্রতিবেশী অঞ্চল গুলোতে সব পক্ষের পরিস্থিতির আরও বৃদ্ধি এড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ফ্রান্স। এর আগে শুক্রবার ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের চলমান যুদ্ধ শেষে গাজা উপত্যকায় নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।
যুদ্ধ শেষ হলে গাজায় হামাসের শাসনক্ষমতা মুছে দেয়া হবে বলে জানিয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, হামাস আর গাজা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তবে নির্দিষ্ট কিছু শর্তের বিনিময়ে গাজা উপত্যকার শাসনক্ষমতা পাবে ফিলিস্তিনিরা।
তিনি বলেন, অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইসরাইল চাইলে পশ্চিম তীরের মতো যে কোনো সময় সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে পারবে। এ সময় গাজার সীমান্ত অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে থাকবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top