খুলনার দর্পণ ডেস্ক : আবারও গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের (সাইফার) মামলায় জামিন পাওয়া পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে। গতকাল ২৭ ডিসেম্বর আদিয়ালা জেলের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের সময় কুরেশি পুলিশি কর্মকা-ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। এরপর পাঞ্জাব পুলিশের এক কর্মকর্তা তাঁকে পুলিশের গাড়িতে ওঠান। কুরেশির দলের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টেলিভিশনের ফুটেজগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক পোস্টে পিটিআই জানিয়েছে, সাইফার মামলায় জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর কুরেশিকে আদিয়ালা জেলের সামনে থেকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কুরেশিকে ১৫ দিন আটক রাখার জন্য রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার মঙ্গলবার যে আদেশ জারি করেছেন, সেটিও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
কোন মামলায় পিটিআইয়ের নেতা কুরেশিকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হলো, তা জানতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ডন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তা যখন কুরেশিকে জোর করে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তিনি বারবার বলছিলেন, তাঁকে ‘অবৈধভাবে’ গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ নিয়ে তামাশা করছে বলেও অভিযোগ করেন এই পিটিআই নেতা।
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় তারা আবারও আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি জাতির প্রতিনিধিত্ব করছি, আমি নির্দোষ। রাজনৈতিক বদলা নিতে বিনা কারণে আমাকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।’
এর আগে, গত শুক্রবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী কুরেশিকে সাইফার মামলায় জামিন দেয়া হয়। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ লাখ রুপি মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার কুরেশির পরিবার মুচলেকার টাকা শোধ করতে আদিয়ালা কারাগারে গেলেও তাঁরা জামিনে মুক্তির আদেশনামা হাতে পাওয়ার আগেই জানতে পারেন, রাওয়ালপিন্ডির উপকমিশনার হাসান ওয়াকার কুরেশিকে ১৫ দিন আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন।
আবারও গ্রেপ্তার মাহমুদ কুরেশি
