খুলনার দর্পণ ডেস্ক : গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। নিয়মানুযায়ী আগামী সপ্তাহের বুধবার এটি আবার হাইকোর্টের কার্যতালিকায় উঠবে।
মির্জা ফখরুলের এক আইনজীবীর সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মোঃ সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি পিছিয়ে আদেশ দেন।
রুলের শুনানি পেছানোর জন্য (নট দিস উইক) আদালতে সময়ের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান নামে এক আইনজীবী। তিনি এই মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবীসহ আদালতের সিনিয়র আইনজীবীদের ব্যস্ত থাকার কারণ দেখান। তখন হাইকোর্ট বলেন, জামিন শুনানি আগে এত জরুরি ছিল, এখন পেছাতে এসেছেন কেন?
১ থেকে ৭ জানুয়ারি বিএনপির আদালত বর্জন কর্মসূচি চলমান থাকায় বিএনপির আইনজীবীরা জামিন শুনানিতে অংশ নেননি।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানির জন্য গতকাল ৩ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
সেদিন আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল ও অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিওন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম রাফেল।
গত ৭ ডিসেম্বর এই মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোঃ সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে জবাব দিতে বলেন।