আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকিতে ইসির ৩০৫ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন

Untitled-6-copy-15.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ৩০৫ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট চার দিন প্রতি দেড় ঘণ্টা পরপর সারা দেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি কমিশনকে জানাবে এই সেল। গতকাল বুধবার দুপুরে ইসির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ধরনের মনিটরিং সেল গঠন করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটা আচরণবিধি মনিটরিং সেল। এই সেল দেখবে কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ হচ্ছে কি না, সেটা হলে রিটার্নিং অফিসাররা কী করছেন। আরেকটি নির্বাচন ঘনিয়ে এলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কি না, যে ফোর্স পৌঁছানোর কথা, তারা ঠিকমতো পোঁছেছে কি না, নির্বাচনের দিন দেখা হবে ঠিকমতো নির্বাচন হচ্ছে কি না, চলছে কি না, গণণা ঠিকমতো হচ্ছে কি না, রেজাল্ট ঠিকমতো হচ্ছে কি না, রেজাল্ট দিয়ে প্রিসাইডিং অফিসাররা ফিরছে কি না, এগুলো মনিটরিং করবে।’
মনিটরিংয়ে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে মোঃ আলমগীর বলেন, ‘অসুস্থ হলে অসুস্থতা পরীক্ষা করে যেমন চিকিৎসা দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে সেটা কোন ধরনের অনিয়ম, সেটা কোন আইনে সেই অপরাধ হয়েছে, সে অপরাধ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা ও প্রার্থীদের আচণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে ৩০০ সংসদীয় আসনে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ইতোমধ্যে সারা দেশে দেড় শতাধিক প্রার্থীকে আচণবিধি লঙ্ঘনের জন্য শোকজ করেছে। শোকজের তালিকায় রয়েছে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সূত্রের তথ্যমতে, নির্বাচন ভবনে থাকবে ৪১ সদস্যের টিম। আর বাকিরা ৬৬ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চারজন করে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা নির্বাচনের যেকোনো পরিস্থিতি প্রতিবেদন একটি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে নির্বাচন ভবনে পাঠাবেন। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল।
ইসির স্মার্টকার্ড বা আইডিইএ-২ প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্ব এ টিমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা থাকবেন। তারা তাদের স্ব স্ব বাহিনীকে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা পাঠাবেন।
এর আগে নির্বাচনী এলাকায় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনী এলাকায় ৬৫৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি অর্থাৎ ভোটগ্রহণের আগের দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দুদিন পর্যন্ত মোট পাঁচ দিনের জন্য নিয়োগ করা হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top