খুলনার দর্পণ ডেস্ক : রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত চারজনের মধ্যে একজন নেত্রকোনা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ ঢালী।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম মনিরুজ্জামান দুদু বলেন, আব্দুর রশিদ ঢালী বিএনপির নেত্রকোনা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাবেক সভাপতি। এর আগে তিনি জেলা যুবদলের নেতা ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
বিএনপি ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালের দিন মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে তেজগাঁওয়ে আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে নাশকতার আগুনে মারা গেছেন বিএনপির এ নেতা। এ ঘটনায় ঢালীসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢালী এবং নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ছেলে ইয়াসিন রহমান পিয়াসের (৩) নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। এ তিনজনের বাড়ি নেত্রকোনায়। এর মধ্যে পপিদের বাড়ি নেত্রকোনার সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বরুনা গ্রামে। পপির স্বামী মিজানুর রহমান মিজান কারওয়ান বাজারে হার্ডওয়ার দোকানে কাজ করেন। তিনি তেজগাঁওয়ের তেজতুরি বাজার এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
জানা গেছে, ৬৫ বছর বয়সী আব্দুর রশিদ নেত্রকোনা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা। শহরের বড়বাজার এলাকায় তিনি কাপড়ের ব্যবসা করতেন। সোমবার রাতে নেত্রকোনা স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে তেজগাঁও এলাকায় এ নাশকতার শিকার হন তিনি।
আব্দুর রশিদ ঢালীর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী শোক জানিয়েছেন। শোকবার্তায় তারা নিহত আব্দুর রশিদ ঢালীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।