শক্তিশালী শ্রম আইন বাস্তবায়ন চান পিটার হাস

Untitled-4-copy-4.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে শক্তিশালী শ্রম আইন ও এর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। আর এর বিস্তারিত রূপরেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সদ্য ঘোষিত শ্রম স্মারকে উল্লেখ আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল ৭ ডিসেম্বর ‘বাংলাদেশ তুলা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কটন এক্সপো উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিচালিত মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য একটি স্থিতিশীল ও প্রত্যাশিত পরিচালনার পরিবেশের জন্য শক্তিশালী শ্রম আইন ও তাদের বাস্তবায়ন অত্যাবশ্যক। তৈরি পোশাক খাতের জন্য সাম্প্রতিক ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা একটি বস্তুনিষ্ঠ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রমাণভিত্তিক জাতীয় মজুরি নীতির সুস্পষ্ট প্রয়োজনীয়তা প্রদর্শন করেছে, যা গার্মেন্টস শ্রমিকদের মুখোমুখি গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যবিষয়ক মিনিস্টার সেলিম রেজার লেখা একটি চিঠি ২০ নভেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি যে স্মারকটি ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ তার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে এবং শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের ওপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।
তবে শ্রম পরিস্থিতি ও কর্মপরিবেশ উন্নত করায় বাংলাদেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসব প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, নতুন গ্লোবাল শ্রম কৌশল (লেবার স্ট্র্যাটেজি) তার সরকারের সব মন্ত্রণালয়সহ, শ্রম সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীল সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে এক মেলবন্ধন তৈরি করে। যা আগামীতে শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতা ও সম্মিলিত দর কষাকষির অধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা করবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top