দ্বিতীয় ধাপে আরও ১শ ইউএনও বদলি হচ্ছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠালো ৩৩৮ ওসির তালিকা

Untitled-11-copy-3.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে দ্বিতীয় দফায় আরও ১০০ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বদলি হচ্ছেন বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে প্রথম দফায় ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলি করা হয়। সবমিলিয়ে দুই শতাধিক ইউএনও বদলি হতে পারেন বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিকেলে তিনি বলেন, আমরা প্রায় ১০০ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বদলির সুপারিশ নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। ইসি এ সুপারিশ যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। যারা এক বছরের বেশি ইউএনও হিসেবে কর্মস্থলে ছিলেন, তাদেরই বদলি করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশন যেভাবে বলেছে, সেই অনুসারে বিভাগীয় কমিশনাররা তালিকা তৈরি করছেন।
জেলা প্রশাসকদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা পাইনি। একটি পেয়েছিলাম, সেটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের যা করতে বলবে, আমরা তা-ই করব।
অল্প সময়ের মধ্যে মাঠ প্রশাসনের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে বদলি করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবই সম্ভব। অসম্ভব বলে কোনো কথা নেই। ২০০ জনের মতো ইউএনও বদলি হতে পারেন। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ইউএনওদের বদলির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠায় ইসি।
অপরদিকে, দেশের বেশিরভাগ থানার ওসিদের পর্যাক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ৩৩৮ থানার ওসিকে বদলির তালিকা ইসিতে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই চিঠি পাঠানো হয়। ইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওসিদের বদলির কাজ চলছে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশন সুনির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছে যারা ছয় মাসের বেশি সময় এক জায়গায় রয়েছেন সেসব ওসিকে বদলি করতে বলেছেন। তারা সময় বেঁধে দিয়েছেন, সেই সময় অনুযায়ী জননিরাপত্তা সচিব এবং আইজিপি বসে পাঠিয়ে দেবেন, দু’একদিনের মধ্যে প্রস্তাব চলে যাবে। এখন যা কিছু হয় নির্বাচন কমিশন সব নিয়ন্ত্রণ করে। তারা যে ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন সে অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। প্রায় ওসিকে বদলি করতে হবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়েছে, বাছাই শেষ হয় ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top