দেশের জনশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

Untitled-6-copy-4.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের জনশক্তিকে দক্ষ ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব। গতকাল ৩ ডিসেম্বর মিরপুর সেনানিবাসের এনডিসিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২৩ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বায়নের যুগে, উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে দক্ষ ও চৌকস জনশক্তি আবশ্যক। এনডিসির প্রশিক্ষণ কোর্স থেকে অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে আপনারা জাতিকে গড়ে তুলতে ও দেশকে আরও উন্নত করতে সহায়তা করুন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের ফলে, জনগণ ও জাতির আশা-আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য বেসামরিক ও সামরিক আমলাতন্ত্রের পাশাপাশি সরকারেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
‘বড় পদ সাধারণত উচ্চতর দায়িত্বের সঙ্গে আসে’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই এনডিসি কোর্স প্রশিক্ষণার্থীদের নীতি-নির্ধারণ, নিরাপত্তা, যুদ্ধ কৌশল ও উন্নয়নের জ্ঞান অর্জনে সঠিক দিক নির্দেশনা দেবে।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র দক্ষ, জ্ঞানী এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে টিকিয়ে রাখতে, দারিদ্র্যকে অতিক্রম করতে এবং একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারেন।’
দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘ভিশন ২০৪১’ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ‘অর্থনৈতিক মিরাকল’ এবং ‘ডেভেলপমেন্ট মার্ভেল’ দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল এবং দারিদ্র্যের অনুপ্রেরণামূলক প্যারাগন হিসেবে তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
বক্তব্যে তিনি পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া কারখানাসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন।
এ বছর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৪৩ জন, বেসামরিক প্রশাসনের ১৩ জন এবং ১৭টি বন্ধুপ্রতিম দেশের ২৯ জনসহ এনডিসি কোর্সে ১৪১ জন অংশ নেন। তাদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আপনারা ২৯ জন বিদেশি প্রশিক্ষণার্থী পেশাগত সম্পর্কের বাইরে গিয়েও সামাজিক বন্ধন ও বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন। আপনারা নিজ নিজ দেশে বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করবেন।’
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মুঃ কামরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, তিন বাহিনীর প্রধান, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ অনেকে। সূত্র : বাসস

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top