খুলনার দর্পণ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই শুরু হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে চলছে এই কর্মযজ্ঞ। খুলনার ৬টি আসনে ৫৩ জন প্রার্থীর জমা দেয়া মনোনয়নপত্রে সম্পদের হিসাব বিবরণী, মামলা-মোকদ্দমার তথ্যাদিসহ নানা বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন তারা।
অপরদিকে শুক্রবার ছুটির দিনকে সাংগঠনিক তৎপরতায় কাজে লাগিয়েছেন প্রার্থীরা। অনেককেই দেখা গেছে নিজ নির্বাচনী এলাকায় জুম্মার নামাজ আদায় শেষে ভোটারদের সাথে বিনিময় করেছেন। নামাজ থেকে বেরিয়ে সংলগ্ন এলাকায়ও করেছেন শুভেচ্ছা বিনিময়। অন্য ধর্মের প্রার্থীরা ভোটারদের ও নেতাকর্মীদের সাথে করেছেন মতবিনিময়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার খুলনার ছয়টি আসনে ৫৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের জমা দেয়া কাগজপত্র পরিবীক্ষণ করছি। মামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত ও থানায় খোঁজ নিচ্ছি। ব্যাংকের কাছেও তাদের হিসাবের তথ্য নিচ্ছি। একই সাথে মনোনয়নপত্রে উল্লিখিত সম্পদসহ অন্যান্য বিষয় যাচাই বাছাই করছি। শুক্রবার ও শনিবার আমরা এই কাজ করে রবিবার ও সোমবার প্রার্থীদের সাথে বসবো। সেই ক্ষেত্রে রবিবার খুলনার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর আসনের প্রার্থীদের সাথে ও সোমবার ১, ২ ও ৩ নম্বর আসনের প্রার্থীদের সাথে বসবো। সেখানে পর্যালোচনাগুলো নিয়ে খোলামেলা আলাপ করা হবে। প্রার্থীরাও তাদের সপক্ষে যুক্তি দিতে পারবেন।
জানা যায়, তফসিল অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার প্রচারণা করার অনুমতি না থাকায় সকাল থেকেই এলাকার ভোটারদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেছেন অনেক প্রার্থী। এরপর মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে সেখানেই ভোটারদের সাথে কথা বলেছেন। তাদের দুঃখ-দুর্দশরা কথা শুনছেন।
এছাড়া নামাজ শেষেও অনেকে বেরিয়ে পড়েন আশপাশের এলাকায়। বিশ্রাম নিয়ে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পেরিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক তৎপরতা। একই সাথে অন্য সম্প্রদায়ের প্রার্থীরাও ভোটারদের কাছে যেতে ভুল করেননি। দফায় দফায় আলাপ করেছেন নেতাকর্মীদের সাথেও।
রিটার্নিং কর্মকর্তা দপ্তরের তথ্যমতে খুলনা জেলার ছয়টি আসনে মোট ৫৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে খুলনা-১ আসনে ছয়জন, খুলনা-২ আসনে নয়জন, খুলনা-৩ আসনে পাঁচজন, খুলনা-৪ আসনে ১৪ জন, খুলনা-৫ আসনে সাতজন এবং খুলনা-৬ আসনে ১২ জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), জাকের পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, এনপিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, ইসালামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বিএনএমসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন। যারা সকলেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।