খুলনার দর্পণ ডেস্ক : শুরু হলো বাঙালির জাতীয় জীবনের সবচেয়ে গৌরবময় মাস ডিসেম্বর। এ মাসেই বাঙালি পেয়েছিল তার বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা, পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতম হত্যাকা-, নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়ে ৯ মাসের ত্যাগ তিতিক্ষার পর পৃথিবীর বুকে এ মাসেই রচিত হয়েছিল এক অমর গাঁথা বাঙালির স্বাধীনতা, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নামক যে রাষ্ট্র বিজয় গৌরবে তার যাত্রা শুরু করেছিল, আজ তা বিশ্বের কাছে এক অপার বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল!
ডিসেম্বর মাস আমাদের জাতীয় জীবনে ডিসেম্বর সোনালী অক্ষরে লেখা একটি গৌরবের মাস। এ মাসের ১৬ তারিখ আমাদের বিজয় দিবস। আমাদের পরম গর্ব ও গৌরবের দিন। এক নদী রক্ত পেরিয়ে এ মাসে বাংলার আকাশে উদিত হয়েছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য। এ মাসেই বাঙালির নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অবসান ঘটে। চব্বিশ বছরের শাসন-শোষণের নাগপাশ থেকে মুক্তিলাভ করে দেশের মানুষ। তিরিশ লাখ শহিদের প্রাণদান, দু’লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রামহানি, অবর্ণনীয় ত্যাগ-তিতিক্ষার পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের মানুষ অর্জন করে প্রত্যাশিত স্বাধীনতা। স্বাধীনতার এ পথ পরিক্রমায় এদেশের মানুষ বীরের জাতি অভিধায় অভিসিক্ত হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাক জেনারেল নিয়াজী। জাতি যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বিজয়ের মাস উদ্যাপনের লক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।