খুলনার দর্পণ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় দুটি আসনের তিন ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোর প্রিসাইডিং অফিসারসহ দায়িত্ব পালনকারী সব নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি। সংশোধিত ফলাফল পেয়ে শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করা হবে। সেই সঙ্গে লক্ষ্মীপুরে অনিয়মে সম্পৃক্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গতকাল ১৩ নভেম্বর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে ইসির সিদ্ধান্তের কথা জানান সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম। গত ৫ নভেম্বর এই দুই আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছিল বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। সেই তথ্যের আলোকে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন কমিশন পেয়েছে।
তিনি জানান, লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ খাগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি ভোটক্ষের জালভোটের কিছু ছবি গণমাধ্যমে আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই একটি কেন্দ্রে ভোটের অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়েছে। ইসি এর আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুইজনকে শনাক্ত করা হয়েছে জাল ভোটের জন্য। তাদের বিরুদ্ধে আরপিও অনুযায়ী মামলা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া ওই দুই বুথের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সচিব জানান, ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন রিটার্নিং অফিসার ওই কেন্দ্রের ভোট বাদ দিয়ে নতুন করে ফলাফল বিবরণী পাঠালে কমিশন গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করবে। কারণ, ওই কেন্দ্রের ভোটে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোটের ব্যবধান বেশি হওয়ায় ফলাফল বিবরণী পেলেই লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের গেজেট করবে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে দুটো ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম পেয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কেন্দ্র দুটি হলো যাত্রাপুর নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও শরিপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের বিরুদ্ধে ১৯৯১ সালের নির্বাচনী কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।