খুলনার দর্পণ ডেস্ক : দীর্ঘ ৫ বছর নয় মাস ১০ দিন পর প্রধানমন্ত্রী আওযামী লীগ প্রধান খুলনায় জনসভায় ভাষণ দেবেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে এই জনসভাকে নির্বাচনী জনসভা হিসেবে ভাবছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। খুলনা বিভাগের ১০ জেলা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ এই জনসভায় যোগ দেবেন।
আগামীকাল সোমবারের খুলনা বিভাগীয় এই জনসভায় নেতাকর্মীরা যাতে নির্বিঘেœ যোগ দিতে পারেন এবং জনসভা শেষে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে এজন্য রেল কর্তৃপক্ষ ২০ জোড়া স্পেশাল ট্রেন পরিচারনা করবেন। প্রতিটি ট্রেনে আসন সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। তবে প্রতিটি ট্রেনে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন হাজার যাত্রী আসতে ও যেতে পারবেন।
রেলওয়ে পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপকের পক্ষে এসিওপিএস মোঃ আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানা যায়, কুষ্টিয়া স্পেশাল (বনলতা এক্সপ্রেসের রেক) কুষ্টিয়া ছাড়বে সকাল আটটায়। আলমডাঙ্গা স্পেশাল আলমডাঙ্গা স্টেশন থেকে ছাড়বে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। কোটচাঁদপুর স্পেশাল কোটচাঁদপুর ছাড়বে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে। বেনাপোল স্পেশাল বেনাপোল ছাড়বে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে। যশোর স্পেশাল ট্রেনটি যশোর স্টেশন ছাড়বে প্রথমে ৮টা ৩০ মিনিটে ও সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে। নোয়াপাড়া স্পেশাল নোয়াপাড়া স্টেশন থেকে সকাল ৯টায় ও সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ২ বার যাত্রী নিয়ে আসবে। এছাড়া ঝিকরগাছা স্পেশাল, মোবারকগঞ্জ স্পেশালসহ আরও কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন সোমবার যাতায়াত করবে।
এ বিষয়ে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের লোকোমোটিভ ইনচার্জ প্রকৌশলী বেনজির আহমেদ জানান, আগামী সোমবার রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল জোন বিশেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি জানান, খুলনা আধুনিক রেলস্টেশনে একসাথে ৪টি ট্রেন প্রবেশ করতে পারে। তবে বের হয়ে যেতে পারে একসাথে ৬টি ট্রেন।
রেলওয়ে পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, খুলনায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে রেল বিভাগ যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের।