রমজানে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

Untitled-2-copy-6.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকতে পারে সেজন্য নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান ঘনিয়ে আসছে, তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন, কারণ, এই মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ানো উচিত নয়।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এখানে আসা নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। টুঙ্গিপাড়ায় তাঁর নিজ বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল।
সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী রমজানের সময় বিশেষ করে বড় মজুদদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য জরুরি পণ্য মজুদ করতে না পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীদের এই বিষয়ে নিয়মিত মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখুন যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রীর সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের প্রথমে তাদের মন্ত্রণালয়ের সার্বিক বিষয়ে তথ্য জানার জন্য নির্দেশ দেন।
সালাউদ্দিন বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর যে কোনো প্রকল্প গ্রহণের সময় মন্ত্রীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময়কালে বক্তৃতায় শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকার লজ্জা নেই, তারা কখন কাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে তার ঠিক নেই। তিনি বলেন, আমেরিকার গোয়েন্দার সাক্ষীতেই কিন্তু তারেক জিয়ার সাজা হয়েছে। তবে এদের (আমেরিকার) লজ্জা নেই। এরা একজনকে এমন করবে, আবার কখন কাকে পছন্দ করে ক্ষমতায় নিয়ে আসে তার ঠিক নেই।
বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চক্রান্ত এখনও শেষ হয়নি, ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। একজন নারী হয়ে আমি পাঁচ পাঁচবার ক্ষমতায় এসেছি এটা অনেক দেশের পছন্দ না। এছাড়া, আমাদের ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অনেকের নজর আছে আমাদের ওপর। কাজেই এখানে বসে অন্য দেশের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাবে, এয়ার অ্যাটাক চালাবে সেটা আমি মেনে নেব না। আমরা ছোট হতে পারি। আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। আমরা স্বাধীনভাবে চলব।
জনগণ আমাদের শক্তি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, চক্রান্ত ছিল আমাকে আসতে (ক্ষমতায়) দেবে না। তাদের হুকুমের দাস এমন কাউকে বসাবে। তারপর এ দেশটাকে নিয়ে খেলতে পারবে। বাংলাদেশের জনগণ তার (ষড়যন্ত্রের) ভালো জবাব দিয়েছে। আমি নির্বাচনকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল- ভোটার যেন আসে এবং প্রতিযোগিতা যেন হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top