জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক …
আর মাত্র দু’দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। ঘরমুখো মানুষ ছুটছে গ্রামে। ঢাকা গাজীপুর ও আশপাশের শিল্প এলাকা থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তবে পশুবাহী ও ফলের গাড়ি থাকায় ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, বিকেলে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়বে।
গাজীপুরে ছোট বড় প্রায় ৫ হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। এসব কারখানা আজ বিকেল থেকে পর্যায়ক্রমে ছুটি শুরু হবে। ছুটির পরেই মহাসড়কে চাপ বাড়বে। কারণ এসব কারখানায় কাজ করা লাখ লাখ শ্রমিক ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হবেন।
তবে যানজট ও ভোগান্তির অন্যতম কারণ হতে পারে মহাসড়কে পাশে থাকা অস্থায়ী পশুর হাট। গাজীপুর মহানগরীর মধ্যে এ বছর অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে ১৭টি। এরমধ্যে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বসা মালেকের বাড়ি, বোর্ডবাজার, গাজীপুরা ও টঙ্গী রোডে অবস্থিত পশুর হাট। মহাসড়কের পাশে পশুর হাট থাকায়, পশুবাহী ট্রাক, পিকআপ প্রবেশ, প্রস্থান যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। এসব হাটগুলো মহাসড়কের সঙ্গে হওয়ায় যান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। এসব হাটের সামনে পশুবাহী ট্রাক, পিকআপ অবস্থান করছে। আবার হাটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী কিছু দোকান।
স্থানীয়রা বলছেন, ঈদুল আজহায় বাড়তি চাপ থাকে। কারণ বিপরীত পথে পশুবাহী ট্রাক, পিকআপ চলাচল করে। এছাড়া, রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ রয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে এটি তীব্র ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে, বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের বেশি সড়কে চলছে এলিভেটেড ফ্লাইওভারসহ (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) বিআরটির উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। প্রায় ১১ বছর ধরে চলা এই প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ না হওয়ায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। সড়কের মাঝখানের খোঁড়াখুঁড়িতে দু’পাশেই সংকুচিত হয়ে পড়েছে চলাচলের লেন। বিভিন্ন অংশে রয়েছে খানাখন্দ ভরা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন এডিসি ট্রাফিক অশোক কুমার পাল বলেন, ঈদযাত্রায় যেন ভোগান্তি না হয় এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে চালকরা সচেতন থাকলেও যানজট অনেকটা কমে যায়। মহাসড়কের পাশে যে পশুর হাট বসেছে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি তারা নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়ক পশুর গাড়ি রাখে বা টানাটানি করে তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।