ঈদের আগে ২৩ দিনে এসেছে ১৯ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা

1687695089.Remitance.jpg

সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট……..
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বেড়েছে প্রবাসী আয়। চলতি জুন মাসের প্রথম ২৩ দিনে প্রবাসীরা দেশে ১৭৯ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার (১৯ হাজার ৪৯৩ কোটি ৫৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা) পাঠিয়েছেন।

রোববার (২৫ জুন) এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা আগের দুই মাস এপ্রিল ও মে-মাসের প্রবাসী আয়ের চেয়ে বেশি।

গত এপ্রিল ও মে মাসে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার পর চলতি জুন মাসেআবার ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে। এপ্রিল ও মে মাসে প্রবাসীরা যথাক্রমে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ও ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার পাঠিয়েছিলেন।

ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের দুই মাস ছিল রমজানের পরের মাস। এ কারণে দুই মাসে প্রবাসী আয় কমেছিল। আবার ঈদুল আজহা এগিয়ে আসার কারণে দেশে পরিবার পরিজনের কাছে বেশি করে অর্থ পাঠানোয় প্রবাসী আয় বেড়েছে। মাত্র ২৩ দিনেই আগের মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।

প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারার পেছনে ভিন্ন কারণ আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত উদ্যোগ ও বিবৃতি সে প্রমাণ দিচ্ছে। গত মার্চ মাসে রোজা শুরু হলে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটে। ওই মাসে প্রবাসীরা দেশে মোট ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন। আর আগের মাস ফেব্রুয়ারি তারা পাঠিয়েছিলেন ১৫৬ কোটি ডলার। রোজার শুরুতে এত বেশি ডলার আসার কারণ হলো তখন প্রবাসীরা দেশে পরিজনদের কাছে বেশি অর্থ পাঠায়।

কিন্তু রোজার শেষে দিকে প্রবাসী আয়ের এ প্রবাহ থেমে যায়। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবা উল হক বলেছিলেন, রোজার শেষের দিকে বড় ধরনের ছুটি থাকায় এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয় কমে যায়।

পরের মাস মে-এর শেষের দিকে প্রবাসী আয়ে ভিন্ন আভাস দেয়। এ সময় প্রবাসী আয় আহরণকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে বলা হয়, হুন্ডিকারবারীরা প্রবাসীদের ডলার কেনার কারণে ব্যাংকি চ্যানেলে পাঠানো কমিয়ে দিয়ে বাড়িয়ে দেয় অবৈধ চেনেলে। যে কারণে প্রবাস আয় কমে যায়।

অবস্থা আচঁ করতে পেরে প্রবাসীদের ডলারের দাম ১০৮ টাকা থেকে ৫০ পয়সা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা করে। আর তারপরই বাড়তে থাকে প্রবাসী আয়। এর প্রভাব পড়ে জুন মাসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৩ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ২৭ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ লাখ ডলার।

একই সময়ে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪১ কোটি ৭৪ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আসে ৫০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top