চেম্বারে রোগীকে যৌন হয়রানি, থানায় অভিযোগ

rap-2306070729.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক…..

খুলনা মহানগরীর কেডিএ অ্যাভিনিউয়ে শেখপাড়া এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেডে এক তরুণী রোগীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ডা. বিপ্লব কুমার দাসের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। যৌন নির্যাতনের শিকার তরুণী একটি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

কলেজ ছাত্রী (১৮) জানিয়েছেন, মাইগ্রেনের সমস্যায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি এলাকা থেকে কিছুদিন আগে এসেছিলেন খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিপ্লব কুমার দাসের চেম্বারে। তিনি শেখপাড়া এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেম্বারে হাজার টাকা ফিসে দেখে এমআরআইসহ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। মঙ্গলবার সকালে ছোট বোনকে নিয়ে পিরোজপুর স্বরূপকাটি থেকে খুলনায় রিপোর্ট দেখাতে আসেন ওই ছাত্রী। বিকেলে ডাক্তারের চেম্বারে রিপোর্ট দেখাতে গেলে তাকে চেম্বারে একা রেখে সবাইকে বাইরে বের করে দেন ওই চিকিৎসক। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার অজুহাতে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন ডাক্তার বিপ্লব। একপর্যায়ে তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন।

পরে ডাক্তারের রুম থেকে বেরিয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন তরুণী। এতে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বলতে থাকেন, ‘রিপোর্ট খারাপ এসেছে সেই ভয়ে রোগী কান্নাকাটি করছেন’। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কলেজছাত্রী প্রকৃত বিষয়টি উপস্থিত সবাইকে বলেন।

ছোট বোন বলেন, ‘আমার আপার মাইগ্রেনের সমস্যা। ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। আপুকে রুমের ভিতরে রেখে ডাক্তার দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেকক্ষণ পরে আপু বাইরে এসে খুব কান্না করছে। আমি শুনলাম আপু কি হয়েছে- সে বলল-ডাক্তার তাকে জড়িয়ে ধরে খারাপ কিছু করেছে। আপু খুব কান্না করছে।’

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এস আই শান্তনু বলেন, প্রাথমিকভাবে কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ শুনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চিকিৎসক বিপ্লব কুমার দাসের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কোনো মন্তব্য করতে চাননি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top