জবি অধ্যাপককে মারধরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদের জামিন স্থগিত

1684750243.Mhamud-BG.jpg

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ….
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে মারধর করে নিয়োগপত্রে সই নেওয়া মামলার আসামি মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ চারজনের জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। এছাড়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১৬ মে উচ্চ আদালতের বিচারপতি মোস্তফা জামান ও আমিনুল ইসলামের আদালত ইউপি চেয়ারম্যান ও নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মাহমুদ, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মো. মজিবর রহমান ও মো. রাসেল হোসেনকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে গত ১৭ মে রিভিউ আবেদন করে। সে মোতাবেক চেম্বার জজ আদালতের বিচারপতি ইনায়েতুর রহমান রোববার (২১ মে) বিস্তারিত শুনে ওই অন্তর্বর্তী জামিন স্থগিত করেন ও দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী বাপ্পী ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ওই মাদ্রাসার সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে পাস করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুলকে মারধর করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ তার বাড়িতে আটকে রেখে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর তার কাছ থেকে নিয়োগপত্রে সই করিয়ে নেন। পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. নজরুল বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ আটজনের নামোল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ৭ মে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ স্থগিতসহ নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মাদ্রাসার বেতন-ভাতা দিতে সই দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় থেকে এ আদেশ দুটি জারি করা হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top