স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ….
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জেনারেল ওসমানী সাহেব যাদের চেয়েছেন তারা খেতাব পেয়েছেন। যারা খেতাব পেয়েছে, তাদের অনেকে যুদ্ধ করেননি।
জিয়াউর রহমানও যুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধারা এখনও অবমূল্যায়িত হচ্ছেন।
অনেক মুক্তিযোদ্ধা এখনো স্বীকৃতি পায়নি। চলমান জাতীয় সংসদে অধিবেশনে এই কথা বলবো।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে মিরসরাই মহাজনহাট ফজলুর রহমান স্কুল এণ্ড কলেজের মাঠে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আক্ষেপ প্রকাশ করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই মানুষগুলোই রাতারাতি বোল পাল্টে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মূল্যবোধ ধ্বংসের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার ওসমানী সাহেব নতুন দল করেছিলেন। ওসমানী সাহেবের দলে যোগ দেওয়ার জন্য ডেকেছিল। আমি যাইনি, উনি মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে যাবে। আমি বলেছিলাম আওয়ামী আছে, আওয়ামী লীগ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস দেশের অভ্যন্তরে থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বিভিন্ন গেরিলা অপারেশনে অংশগ্রহণ ও তাদেরকে থাকা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে ছিল, মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান কম নয়। কোনও মেজর বলে দিলো আর অমনিতেই মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ জীবন দিয়েছে তা কিন্তু না। বাঙালি স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকেই বাঙালি যার যা কিছু আছে তা নিয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছে। সামরিক বাহিনীর সদস্য যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে তাদের চেয়ে সাধারণ মানুষ যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের অবদান বহুলাংশে বেশি ছিল।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহবুব রহমান রুহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানসহ চট্টগ্রাম নগর, ও জেলার বিভিন্ন স্তরের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।