যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনায় ঢাকায় মানববন্ধন সরকার সমর্থন করে না’

Untitled-1-2301091031.jpg

কূটনৈতিক প্রতিবেদক……

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে নিহত প্রবাসী বাংলাদেশি সৈয়দ ফয়সাল আরিফ হত্যার প্রতিবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ। এ ধরনের মানববন্ধন সরকার সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরের পর নিজ দপ্তরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমেরিকায় বিচার ব্যবস্থা ভালো। বাংলাদেশি মৃত্যুর বিষয়ে তারা তদন্ত করবে।

মানববন্ধনের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবগত কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি তো জানি না। এ ধরনের মানববন্ধনকে আমরা উৎসাহ বা সমর্থন করি না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। মানববন্ধন সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানববন্ধন কারা করেছেন পুরো বিষয়টা আমি জানি না। যারা করেছেন, তারা এটা আমাদের চিঠি দিয়ে জানাতে পারতেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলেন লবাখ ও একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে। আজ মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তার। মার্কিন অ্যাডমিরালের মন্ত্রণালয়ে আসা কেন্দ্র করে এ মানববন্ধন কিনা- জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, কাজের চাপের কারণে আমি মানববন্ধনটা ডিটেইলে দেখতে পারিনি।

বাংলাদেশির নিহতের ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটন ঢাকাকে আশ্বস্ত করেছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের রাষ্ট্রদূত তার কাউন্টারপার্টের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ন্যায়বিচার হবে।

তিনি বলেন, যে পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে বাংলাদেশি মারা গেছে, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছে বলে; একটা তথ্য আমরা ইতোমধ্যে পেয়েছি। আমরা আশা করি, বাংলাদেশি নাগরিক সুবিচার পাবেন।

মানববন্ধনকে কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা- প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমার মনে হয় না। অবস্থাটা এমন হয়েছে যে, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসে একটা পাতা নড়লেও অন্যকিছু ভাবে। এটাতে ওভার উৎসাহের কিছু দেখছি না। এটা কোনো হাইলি সেনসেটিভ ইস্যুও না।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top