খুলনায় দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু

1668592594.Khulna-Digidal-BG.jpg

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট…..
খুলনায় দুই দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শুরু হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় খুলনার সার্কিট হাউস মাঠে প্রধান অতিথি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ মেলার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের সূচনা করেছেন। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল ক্ষেত্রে এশিয়ার বিস্ময়। আমরাই আগামীর তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে নেতৃত্ব দেবো।
তিনি বলেন, আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিশুদের প্রযুক্তিজ্ঞানে দক্ষ করে তুলতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে সঙ্গে কলকারখানায় ব্যাপক অটোমেশন প্রক্রিয়া চালু হবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান শ্রমিকরা যেন বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্র থেকে গ্রামের মানুষ এখন সহজে ডিজিটাল সেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এক সময়ের লাখ টাকা দামের সংযোগসহ মোবাইল ফোনের মূল্য এখন এক হাজার টাকার মধ্যে নেমে এসেছে। ফলে প্রান্তিক মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই আমরা উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. অনুপ কুমার বৈরাগী। আলোচক ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক শেখ আলমগীর হোসেন। খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় নয় হাজার ১৭২টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে সেবা গ্রহীতারা সহজে সরকারি সেবা পাচ্ছেন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউস মাঠে মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। ডিজিটাল মেলার এবারের প্রতিপাদ্য ‘উদ্ভাবনী জয়োল্লাসে স্মার্ট বাংলাদেশ’।

মেলা চত্বরের ৬৯টি স্টলকে চারটি প্যাভিলিয়নে ভাগ করা হয়েছে। উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও স্টার্টআপ প্যাভিলিয়নে ২৮টি, ডিজিটাল সেবায় ২৭টি, হাতের মুঠোয় সেবায় ৮টি এবং শিক্ষা, দক্ষতা, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে ছয়টি স্টল রয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণ থেকে সরকারি দপ্তরগুলো নাগরিকবান্ধব ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top