নিজস্ব প্রতিবেদক….
খুলনা থেকে এ বছর ৬৮৭ টন ইলিশ মাছ রপ্তানি হয়েছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সেপ্টেম্বর মাসের সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফলভাবে উদযাপন হয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ফের ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, বর্তমানে করোনার প্রকোপ আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা এখনো করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেননি তাদের দ্রুত নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ৫-১১ বছরের শিশুদের ফাইজার টিকার কার্যক্রম শিগগির শুরু হবে। এজন্য শিশুদের জন্মনিবন্ধন কার্ড প্রয়োজন হবে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড প্রস্তুতসহ করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
খুলনা থেকে ৬৮৭ টন ইলিশ রপ্তানি
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের ১৪ কিলোমিটার জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের মাধ্যমে মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ চিহ্নিত করে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, খুলনা জেলায় ওএমএস এর মাধ্যমে ৩০ টাকা দরে চাল বিক্রি চলমান রয়েছে। মহানগরীতে ওএমএস এর আওতায় দৈনিক ২৪টি পয়েন্টে এক হাজার টন চাল ও পাঁচশ টন আটা বিক্রি চলমান রয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রমও অব্যাহত আছে। চাল, ধান, আটা, সয়াবিন তেল, লবণসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দর নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে এবং বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা যায়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ১ অক্টোবর থেকে সনাতন ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে। শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিরা পদক্ষেপ নেবেন। শিশুদের করোনা টিকা গ্রহণে আবশ্যকীয় জন্মনিবন্ধন কার্ড যাতে সহজে করতে পারে, এজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।