ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করা এবং এর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া: জেলা আ’লীগের সভায় শেখ হারুন

FB_IMG_1661092429876.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ দিবস উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রবিবার বিকাল ০৫ টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ সভাপতিত্ব করেন।
সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড সুজিত অধিকারী।

সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ তার বক্তব্যে বলেন, ২১ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে বারুদ আর রক্তমাখা বিভীষিকাময় রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ নেতাকর্মী, পঙ্গুত্ববরণ করতে হয় অনেককে। ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করা এবং এর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়া। পরিশেষে দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদকে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেই নারকীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর হয়ে সেই অপচেষ্টা রুখে দেয়।
তিনি আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু সে সময়ের সরকার তা করেনি। বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকেই এই বিভীষিকাময় কর্মকাণ্ডের বিচারে কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে মামলার রায় কার্যকর করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সাধারন সম্পাদক এ্যাড সুজিত অধিকারি বলেন স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্র বিরোধ চক্র এখনো নানানভাবে সোচ্চার আছে। এই অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের
সহ সভাপতি কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, আব্দুস সালাম মুর্শিদি এমপি, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বি এম এ ছালাম, অধ্যাঃ নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন
যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এমএ রিয়াজ কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হালিমা ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বাবলু, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েদুজ্জামান সম্রাট, শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ফ ম ছালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, মোসাম্মৎ সামসুন্নাহার, শিউলি সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, অমিয় অধিকারী, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান, আশরাফুজ্জামান বাবুল, সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, মোঃ মানিকুজ্জামান অশোক, হোসনেয়ারা চম্পা, এ্যাড. জেসমিন পারভীন জলি, এ্যাড. পলাশী মজুমদার, কাজী আজাদুর রহমান হিরোক, মোঃ আসাদুজ্জামান কচি, সরদার জাকির হোসেন, অজিত বিশ্বাস, দেব দুলাল বাড়ই বাপ্পি, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মোঃ ইমরান হোসেন, রেহেনা আফরোজ শোভা, মোল্লা শহিদুল ইসলাম, কামরুল গাজী, সাবিনা ইয়াসমিন, রিনা পারভীন,
মারুফ হোসাইন,
তানভীর রহমান আকাশ, আঞ্জুয়ারা, শিউলি, রিক্তা,
আতিকুজ্জামান তানভীর,
কাজী নাজিব, চিশতি নাজমুল বাশার সম্রাট,
বাধন হালদার, রাসেল, শহিদুল ইসলাম, সোহেল খান, বরকত হোসেন,খায়রুল বাশার, তুলি, রুনা, শান্তা, পলাশ রায়, মঈন, সাইফুল ইসলাম সাইফ, হিরন, ইমন, বিশ্বজিৎ প্রমুখ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top