সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট …….
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা ভূমি অফিসে এসিল্যান্ড নেই প্রায় সাড়ে ৪ মাস। এসিল্যান্ড শূন্যতায় ধুকে ধুকে চলছে ভূমি অফিস।
যে কারণে অফিসটির কাজ-কর্মে চরম ধীর গতি। ফলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের।
দীর্ঘদিন থেকে এসিল্যান্ডের পদটি খালি থাকায় অনেক ফাইল আটকে আছে। ভূমি সংক্রান্ত বহু মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না। জমির নামজারি জমা খারিজের আবেদন জমে আছে অফিসে। এগুলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর না হওয়ায় আবেদনকারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানা যায়, বটিয়াঘাটায় এসিল্যান্ড আব্দুল হাই সিদ্দিকী চলতি বছরের ৩১ মার্চ বদলি হয়ে যাওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য রয়েছে। তারপর থেকে এ অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
ভূমি সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত আছেন হাজার হাজার মানুষ। নামজারি জমা খারিজের জন্য আবেদনের ফাইল স্তূপ হয়ে জমে আছে।
কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বেশি জমিজমা কেনা বেচা হয় বটিয়াঘাটা উপজেলায়। কিন্তু সেই উপজেলায় এসিল্যান্ড না থাকায় জমি বিক্রি কার্যালয়ে একাধিকবার এসেও কাজ হচ্ছে না। কবে কাজ হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি হয়রানিও হচ্ছেন তারা।
ছাচিবুনিয়া এলাকার অসিম অধিকারী ও হোগলাডাঙ্গা এলাকার আলমগীর হোসেন জানান, দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস এসিল্যান্ড না থাকায় আমাদের ভীষণ ভোগান্তি হচ্ছে। খুলনার জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় অবিলম্বে এসিল্যান্ড নিয়োগের দাবি জানান তারা।
শীঘ্রই বটিয়াঘাটায় এসিল্যান্ড পদায়ন হবে বলে খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।