নিজস্ব প্রতিবেদক…
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণায় প্রভাব পড়েছে পরিবহন খাতে। তেলের দাম বৃদ্ধি হলেও ভাড়া নির্ধারণ না হওয়ায় খুলনায় পরিবহন চলাচল কমে গেছে। হাতেগোনা কয়েকটি বাস চলাচল করলেও তাতে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি।
যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার ভাড়া নির্ধারণ না করলেও বাস মালিকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে। যা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বেশি ভাড়া চাওয়ায় অনেক যাত্রী নির্ধারিত গন্তব্যে না গিয়ে ফিরে গেছেন।
তাদের অভিযোগ, কোনো রকমের ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার রাত ১২টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ৮০ টাকার ডিজেল ১১৪ টাকা, ৮৬ টাকার পেট্রল ১৩০ টাকা ও ৮৯ টাকার অকটেন ১৩৫ টাকায় বিক্রি করছেন পাম্প মালিকরা।
নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কয়েকশো বাস টার্মিনালে রেখে দেওয়া হয়েছে। মাঝেমধ্যে ২-১ টি বাস নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
খুলনা থেকে পাইকগাছায় যাবার জন্য সোনাডাঙা বাস টার্মিনালে আসেন আলাউদ্দিন সোহাগ। একদিন আগে তিনি এসেছেন ১১০ টাকা ভাড়া দিয়ে। আজ ফিরে যাবার জন্য তার কাছে ভাড়া চাওয়া হয়েছে ১৮০ টাকা।
তিনি বলেন, একে তো বাস চলছে না, তার ওপর একটা বাস পেয়েছি। ভাড়া তাদের চাহিদা অনুযায়ী দিতে হবে। বেশি ভাড়া চাওয়ার প্রতিবাদ করে হেনস্তা হতে হয়েছে অনেককে।
সুন্দরবন পরিবহনের লাইনম্যান সুজিত জানান, একটি বাস ঢাকা যেতে-আসতে ১২০ লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। এবার থেকে আরও ৪ হাজার টাকা বেশি দামে তেল কিনতে হবে। গাড়ি ভাড়া জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ৬৫০ টাকার কথা বলেন। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি কথা ঘুরিয়ে ৫০০ টাকার কথা বলেন।
জিরো পয়েন্টর গ্রিনলাইন পরিবহন কাউন্টারের বেল্লাল বলেন, গত রাত থেকে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা থেকে এখনও তাদের ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আজকের মধ্যে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে।
সোহাগ পরিবহন কাউন্টার ম্যানেজার শেখ রাজা বলেন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগের ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে সকাল থেকে কয়েকটি গাড়ি খুলনা থেকে ছেড়ে গেছে।
টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের জিএম গোলাম ছামদানি সাকিব বলেন, সড়ক বিভাগ থেকে ভাড়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আজকের জন্য এসি ও নন এসি পরিবহনে প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে আসন বাবদ ১০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। খুলনা বাদে অন্য রুটের ভাড়া আসন প্রতি ৫০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।