খুলনার দর্পণ ডেস্ক : ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেছেন, বন্দী বিনিময়ের জন্য আমরা প্রস্তুত এবং মধ্যস্থতাকারী কাতার ও মিশর যেকোনো উদ্যোগ নিয়ে আসলে তা পর্যালোচনা করা হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি প্রেস কনফারেন্সে হামাসের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে হামদান বলেন, বন্দী বিনিময় নিয়ে যে কোনো আলোচনা টেবিলের বাইরে থাকবে যতক্ষণ না গাজায় হামলা বন্ধ করে ইসরায়েল।
হামদান বলেন, ‘কাতার এবং মিশরের কাছ থেকে বন্দী বিনিময়ের যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হবে, যা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করবে।’
সোমবার জাবালিয়ায় সর্বশেষ ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে হামদান বলেন, গাজায় গত ৭৩ দিনের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আর এতে ইসরায়েলের প্রধান সহযোগী মার্কিন প্রশাসন।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব গাজা উপত্যকায় তাদের সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
এরআগে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সূত্রে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ বলছে, জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত ইসরায়েলও।
চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, নতুন বন্দী বিনিময় চুক্তিটি মানবিক যুদ্ধবিরতির কাঠামোর মধ্যে সম্পন্ন করা হবে এবং এ চুক্তিতে এখনও বন্দী নারী, রোগী এবং আহত এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ইসরায়েল বলেছে, এখনও বেসামরিক নারীরা হামাসের হাতে বন্দী রয়েছে। তবে হামাসের দাবি, সেই নারীরা সৈনিক এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় তাদের বন্দী করা হয়েছিল।
হামাস জোর দিয়ে বলেছিল, এই নারী সৈন্যদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা পরবর্তী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। এটি গোষ্ঠীটির এমন একটি পদক্ষেপ যা গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির পতন এবং ১ ডিসেম্বর থেকে যুদ্ধ পুনরায় শুরু করতে অবদান রেখেছিল।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের মতে, হামাসের কাছে এখনও ১৩৭ জন বন্দী রয়েছে, যার মধ্যে ১২৬ ইসরায়েলি এবং ১১ বিদেশি নাগরিক।
চ্যানেলটি একটি সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, লড়াইয়ের তীব্রতা একটি সম্ভাব্য বন্দী বিনিময়ের পথ খুলতে শুরু করেছে, যা অগ্রাহ্য করা উচিত নয়।
বন্দী বিনিময়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
