ইফতারকে ‘অনন্য বিশ্ব ঐতিহ্যের’ স্বীকৃতি দিলো ইউনেসকো

Untitled-5-copy-4.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : রমজান মাসে সিয়াম পালনকারীদের সবচেয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত হচ্ছে ইফতারের সময়। সূর্যাস্তের সাথে সাথে মসজিদে মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি ভেসে আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুখে পানি/সরবত বা খেজুর তুলে নেন রোজাদাররা। যে কোনো কাজেই থাকুক, সব ফেলে ইফতারের আয়োজনে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ।
পবিত্র রমজান মাসে মসজিদে মসজিদে একত্রিত হয়ে বসে যান, যেখানে রোজাদারদের ইফতারের আয়োজনে থাকে না কোনো ধনী-গরিবের ভেদাভেদ। আর মুসলিমদের গুরুত্বপূর্ণ এ ধর্মীয় রীতি ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি মনে করে, এই ধর্মীয় রীতি পরিবার ও সমাজে বন্ধন দৃঢ় করে এবং দান, সৌহার্দ্যরে মতো বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে। ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিতে যৌথভাবে ইউনেসকোতে আবেদন করেছিল ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান।
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রমজান মাসে সূর্যাস্তের পরে আযানের সময় ইফতার পালন করেন গোটা বিশ্বের মুসলমানেরা। সমস্ত ধর্মীয় ও আনুষ্ঠানিক আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার পরে ইফতার করা হয়। পরিবার ও সম্প্রদায়ের বন্ধন জোরদার করে ইফতার। এ ছাড়া সহায়তা, সংহতি ও সামাজিক বিনিময় প্রচারের সঙ্গে যুক্ত এটি।
ইউনেসকো আরও বলছে, ইফতারে খাবারসামগ্রী দেশে দেশে ভিন্ন। অনেক মুসলিম দেশে চা পানের সঙ্গে খেজুর খেয়ে ইফতার করা প্রচলিত রীতি। কোথাও থাকে মিষ্টি জাতীয় খাবার।
জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও বলেছে, ইফতার অনুশীলন সাধারণত পরিবারের মধ্যে দারুণ বন্ধন তৈরি করে। প্রায়শই পরিবারের শিশু এবং যুবকদের ইফতারের আয়োজন ও প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেয়া হয়।
রমজানের অন্যতম সৌন্দর্য ও সুন্নত হলো ইফতার। রোজাদাররা ইফতার সামনে নিয়ে যে দোয়া করে, সেই দোয়া মহান আল্লাহর দরবারে গুরুত্বের সঙ্গে কবুল হয় বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। সূত্র: এএফপি

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top