নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা …..
‘আপনি খেলা শুরু করেছেন, আমি শেষ করবো। ইনশাল্লাহ রেডি থাকেন।’ মোবাইলে এমন একটি ক্ষুদে বার্তা দিয়ে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে খুলনার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
চাঁদা দাবি করেন বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা জাফরিন হাসান। তিনি ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি।
খুলনার পথেরবাজারে সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানায় চাঁদা আনতে গেলে রাত ১১টার দিকে কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী জাফরিনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
জাফরিন খানজাহান আলী এলাকার হাসান শেখের ছেলে।
খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন খান বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে জাফরিন রোববার রাতে ম্যানেজারের নিকট চাঁদা দাবি করে। এরপর কারখানার শ্রমিক ও এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দিলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তবে তার অন্য সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।
এর আগে রপ্তানীমুখী সাউথ এশিয়ান প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং কারখানার ম্যানেজার গোলাম সরওয়ার জানান, রোববার রাত ৯ টা ৩০ মিনিটের দিকে জাফরিনসহ কয়েকজন জোর করে কারখানায় প্রবেশ করে। তারা কারখানার প্রধান ফটকে নিরাপত্তাকর্মীকে হুমকি-ধামকি দেয়। এরপর আমার অফিস কক্ষের সামনে এসে গালিগালাজ ও চেঁচামেচি করতে থাকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি অন্য কক্ষে অবস্থান নেই। তারা পরে আমার বাসায় যায় এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। সে রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে আমার নাম্বারে ম্যাসেজ পাঠায়। তাতে লেখা ছিল ‘আপনি খেলা শুরু করেছেন, আমি শেষ করবো ইনশাল্লাহ রেডি থাকেন।’
এর আগে গত কয়েকদিন ধরে জাফরিন মোবাইলে ফোন করে চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।