এক গ্রামের ৭ ভাষাসৈনিকের স্মরণে নানা আয়োজন

Bagerhat-1-2302210718.jpg

বাগেরহাট প্রতিনিধি ……

বাদেকাপাড়া, বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম। জেলা শহরের লাগোয়া হওয়ায় গ্রামটির পরিচিতি রয়েছে। এই গ্রামেই বাড়ি একুশে পদক প্রাপ্ত ভাষাসৈনিক ড. হালিমা খাতুনসহ সাত ভাষাসৈনিকের। যারা নিজেদের কর্মতৎপরতায় বিখ্যাত নিজ নিজ অঙ্গনে। কিন্তু একটি গ্রামে সাতজন ভাষাসৈনিকের বাড়ি থাকলেও, এতদিন বিষয়টি সামনে আসেনি।

এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহিদ দিবস উপলক্ষে সাত ভাষাসৈনিকের স্মরণে বাদেকাড়াপাড়া পল্লী মঙ্গল সমিতির উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ওই গ্রামে।

এই গ্রামের সাত ভাষাসৈনিক হলেন- একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন, সাবেক ছাত্র নেতা শেখ আশরাফ হোসেন, এ.জেড. এম দেলোয়ার হোসেন, শেখ নজিবর রহমান, শেখ মারুফুল হক, শেখ ইজাবুল হক, শহিদ বুদ্ধিজীবী শেখ হাবিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে ভাষাসৈনিকদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপরেই শহিদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পন করেন ভাষা সৈনিকদের পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী শহিদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহিদ দিবসের তাৎপর্য বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বুলবুল কবির। এসময় কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিতুর রহমান পল্টন, বাগেরহাট সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম, বাদেকাড়াপাড়া পল্লী মঙ্গল সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান বুলু, নারী ইউপি সদস্য আবেদা সুলতানা, ইউপি সদস্য আব্দুল আলিম, ড. হালিমা খাতুনের ভাইয়ের ছেলে মো. তানজির হোসেনসহ এলাকাবাসী।

পরে শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনি অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যাপক বুলবুল কবির বলেন, বাঙালি জাতির জন্য ভাষা আন্দোলন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি অধ্যায়। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে। এক গ্রাম থেকে সাতজন ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন, এটা অনেক গর্বের বিষয়। এর মধ্যে ড. হালিমা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি একজন জনপ্রিয় শিশু সাহিত্যিকও ছিলেন।

কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিতুর রহমান পল্টন বলেন, ‘ড. হালিমা খাতুনের পাশাপাশি অন্যরাও নানা ক্ষেত্রে সমাজ বিনির্মাণে অবদান রেখেছেন। এই গ্রামের ভাষা সৈনিকসহ দেশের যারা ভাষা সৈনিক রয়েছেন তাদের সবাইকে তালিকাভুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনকারীদের মত সম্মানিত করার দাবি জানাচ্ছি।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top