খুবির জনসংযোগ বিভাগের প্রথম পরিচালক আতিয়ার রহমান

1672656089.Untitled-1.jpg

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট …….
জনসংযোগ বিভাগের প্রথম পরিচালক আতিয়ার রহমান
খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুব) জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের প্রথম পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন একই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এস এম আতিয়ার রহমান।

জাতীয় বেতন স্কেলের তৃতীয় গ্রেডের পরিচালকের এ পদে তিনি সরাসরি নিয়োগ লাভ করে ১ জানুয়ারি যোগদান করেন।

১৯৯৬ সালে তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকশন অফিসার পদে যোগদান করে ২০০৫ সালে সহকারী রেজিস্ট্রার ও ২০০৭ সালে উপ-পরিচালক পদে সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। জনসংযোগ বিভাগ ছাড়াও তিনি রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল ও প্রশাসন শাখারও দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় এক টানা ২৫ বছর তিনি জনসংযোগ বিভাগে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি সমাবর্তনে তিনি প্রকাশনাসহ অন্যান্য বিভিন্ন প্রকাশনা কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ পর্যন্ত সব উপাচার্যের সান্নিধ্যে তিনি কাজ করার সুযোগ লাভ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে প্রবেশের আগে তিনি প্রায় এক দশক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কাজ করেন। ১৯৬৬ সালের ৭ মার্চ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মেছাঘোনা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. ফজলুর রহমান ও মায়ের নাম জোবেদা বেগম।

পেশাগত দিকের বাইরে তিনি প্রাজ্ঞসর চিন্তক হিসেবে পদ্মা-যমুনা ত্রিমুখী সেতু ও করিডোর এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাবিত নকশার সচিত্র ধারণা দিলে তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ভারতসহ দেশের পাঁচটি ইউটিউব চ্যানেল তার সেই সচিত্র-নকশা প্রতিবেদন আকারে প্রচার করে, যার ভিউয়ার প্রায় ২০ লাখ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামটির নকশা প্রণয়নসহ ধারণাদান ও বিবরণে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। খুলনার গল্লামারী থেকে জিরোপয়েন্ট নির্মাণাধীন চার লেন দৃষ্টিনন্দন মহাসড়ক তৈরি ও সম্প্রসারণের তিনি মূল পরিচিন্তক, প্রস্তাবক ও সচিত্র প্রথম নকশা তৈরিকারী। জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকের উপ-সম্পাদকীয় কলামে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তার ৩০টির বেশি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তার কর্মজীবন শুরু হয় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। তিনি আঞ্চলিক দৈনিক পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত থাকা ছাড়াও দৈনিক প্রবাহ, দৈনিক জনবার্তা ও জনভেরী পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। সে সময়ে তিনি তরুণ সাংবাদিক হিসেবে রোটারি ও জনভেরী পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৮৫ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি দৈনিক পূর্বাঞ্চলের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংক্রান্ত পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার মতে জনসংযোগ পেশা হলো চ্যালেঞ্জিং, চার্মিং অ্যান্ড লার্নিং।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top