সম্পর্কের নানা উত্থান-পতন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন সুস্মিতা

Sushmita-673c5b9481d6a.jpg

বিনোদন ডেস্ক : তিনি তারকা। তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা, কাঁটাছেড়া কম হয়নি। সে সব সামলেও কীভাবে সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার মানসিক চাপ সামলেছেন বলিউড সেনসেশন সুস্মিতা সেন? বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সেই কঠিন সময়ের কথা বলেছেন অভিনেত্রী। সম্পর্ক সামলে রাখতে কী করা উচিত, সম্পর্ক ভাঙলে কী করতে হয়, ব্যক্তিগত জীবন যখন না চাইতেও প্রকাশ্যে এসে পড়ে, তখন কী করবেন, সবই শেখা যায় সুস্মিতার কাছ থেকে।

১। একটা সম্পর্কে যদি একে অপরের কথা বুঝতেই অসুবিধা হতে শুরু করে, যদি একজন আর একজনকে ভুল বুঝতে শুরু করেন, তবে সেই সম্পর্ক শেষ হতে বাধ্য। ভুল বোঝাবুঝির কারণ থাকে মূলত একটাই। কোনো একজন বা দু’জনই হয়তো স্পষ্ট করে নিজের কথা বলতে পারছেন না বা পারেননি। এ ক্ষেত্রে সম্পর্ককে বাঁচানোর উপায় থাকে একটাই। নিজের অনুভূতির কথা জোর দিয়ে বলুন। কারও নিজে থেকে বুঝে নেওয়ার উপর ছেড়ে দেবেন না।

২। সম্পর্ক শব্দটা খুব সুন্দর একটা শব্দ। আমি আমার জীবনে অনেকরকম সম্পর্কে থেকেছি। অধিকাংশ সম্পর্কই আমাকে মানুষ হিসাবে আরও উন্নত হতে সাহায্য করেছে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, কোনো সম্পর্কই গ্যারান্টি কার্ড নিয়ে আসে না। আমি এমনও দম্পতি দেখেছি, যারা ধূমধাম করে ২৫ বছরের দাম্পত্য উদযাপন করেছেন এবং তার দিনকয়েকের মধ্যেই আলাদা হয়ে গেছেন। আমার মনে হয় সম্পর্কের বয়স যখন বাড়ে, তার সঙ্গে আমরাও পরিণত হই। প্রক্রিয়াটা কখনও দীর্ঘমেয়াদি হয়। কখনও দ্রুত থেমে যায়।

৩। ১৬ বছর বয়সে শুধু ডেটিং করাটাই আমার কাছে দারুণ ব্যাপার ছিল। এখন এক জন পুরুষ সঙ্গীর কাছে আমার অনেক কিছু চাওয়ার আছে। সেই চাওয়া আর পাওয়ার মিল হওয়া সহজ নয়। তবে পাওয়ার অঙ্ক মেলাতে যদি অপেক্ষা করতে হয়, করতে হবে।

৪। সঙ্গীর বিশ্বস্ততা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। কেউ কেউ ভাবেন শারীরিকভাবে সঙ্গে থাকাটাই বিশ্বস্ততার একমাত্র প্রমাণ। কিন্তু আমি বলব আমার পাশে থাকা মানুষটিকে যদি মনে মনে ভাবে আমাকে এর কাছে ফিরতে হবে, তবে তাকে কি বিশ্বস্ততা বলা যায়। মনে যদি অন্য কেউ থাকে, এবং শারীরিক ভাবে সে যদি আমার সঙ্গে থাকে, তবে তাকেও তো বিশ্বস্ততা বলা যায় না।

৫। আমি মনে করি আমি থুব সৌভাগ্যবান, যে আমার জীবনে সঙ্গী হিসাবে কিছু দারুণ পুরুষকে পেয়েছি আমি। সাবেক সম্পর্কগুলোকে আমি এভাবেই দেখি।

৬। যেকোনো সম্পর্কের শুরুতেই একে অপরকে জানা যায় না। প্রথম প্রথম সবই ভাল থাকে। সম্পর্ক যত পরিণত হয়, ততই একে অপরের আসল দিকগুলো প্রকাশ্যে আসতে থাকে। একে অপরকে বুঝতে বুঝতে যথন পরষ্পরের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস তৈরি হয়, তখনই বুঝবেন, এ বার আপনি সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

৭। আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কে যখনই কোনো সমস্যা হয়েছে, আমি দেখেছি, সবাই তা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছে। অনেকে অনেকরকম মতামতও দিয়েছে। কিন্তু লোকে বললেই শুনতে হবে, কে বলেছে। আমি যখনই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি এবং বিরক্ত হয়েছি, মনে মনে ভেবেছি, তোরা যা খুশি বল, আমি শুনব। আমি আমার কাজ করব। আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলার অধিকার কারও নেই। সেটা শুনে গুরুত্ব দেওয়ারও প্রয়োজন নেই।

Share this post

scroll to top