ডেস্ক রিপোর্ট: রোববার রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সবশেষ সমাবেশে অংশ নিতে উত্তর ক্যারোলিনায় এসেছেন ৫৫ বছর বয়সি ভিকি ওয়েস্টব্রুক। তিনি পাঁচ সন্তানের মা এবং দুই সন্তানের দাদি।
কিন্তু তাতে কি! ট্রাম্পের এই কট্টর নারী সমর্থক জানিয়েছেন, রিপাবলিকানরা ট্রাম্পকে জয়ী করতে ‘যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা বা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত’।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন সকালেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে তার সমর্থকরা ক্যাপিটাল হিলে দাঙ্গা তৈরি করে।
রিপাবলিকান সমর্থকদের দাবি, কারচুপি করে হারানো হয়েছিল ট্রাম্পকে। কিন্তু এবার দ্বিতীয়বার ভোট চুরি করা যাবে না। ট্রাম্পকে যে কোনো মূল্যে জয়ী করতে প্রস্তুত তারা।
ভিকি ওয়েস্টব্রুক বলেন, ভোট চুরি ঠেকাতে তিনি ‘নিজের কাছে বন্দুক রাখছেন’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার বাচ্চা আছে, জেলে যাওয়ার সামর্থ্য আমার নেই। আর আমি কমলাকে পছন্দ করি না’।
রিপাবলিকান সমর্থকদের অনেকের আশঙ্কা ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গেলে সংঘাত তৈরি হতে পারে। এই মুহুর্তে, অনেক রিপাবলিকান (পরাজয় মেনে নেওয়া) এটি আর নিতে যাচ্ছে না। তারা আমাদের কাছ থেকে ‘দুইবার নির্বাচন চুরি’ হতে দেবে না।
ওয়েস্টব্রুক নিশ্চিত করে বলছেন, ২০২০ নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার কমলা হ্যারিস জিতলে মনে করা হবে ‘ভোট চুরির’ কারণেই এটি হয়েছে।
‘যদি তারা প্রতারণা করে। আমি এটা নিয়ে একেবারেই ইতিবাচক।’
এর মাধ্যমে এটা অনুমেয়, ট্রাম্প সমর্থকরা কথিত প্রতারণা নিয়ে বিচলিত নয়। বরং অজুহাত তুলে দাঙ্গা কিংবা সংঘাত জড়াতে অনেক বেশি উৎসাহী।
ট্রাম্প বছরের পর বছর ধরে ভোট কারচুপি হয়েছে এই ধরনের অভিযোগ করে আসছেন। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তার বক্তৃতায় এই তীব্রতা বাড়ছে। ভোট গণনার ফলাফল গ্রহণ করবেন কি না ট্রাম্প তা নিয়ে বারবার অনিশ্চয়তামূলক বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ রোববার পেনসিলভানিয়ায় সমর্থকদের ট্রাম্প বলেছেন, চার বছর আগে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করা তার উচিত নয়।
পাবলিক রিলিজিয়ন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজন রিপাবলিকান সমর্থক বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প যদি নির্বাচনে হেরে যান, তবে তার উচিত ফলাফলকে অবৈধ ঘোষণা করা এবং হোয়াইট হাউস পুনরুদ্ধার করার জন্য ‘যাই লাগে তাই করা উচিত’।
আফ্রিকান আমেরিকান ট্রাম্প সমর্থক ৩৮ বছর বয়সী সেড্রিক পারনেস বলেছেন, ‘ট্রাম্প না জিতলে মানুষ দাঙ্গা করবে। তিনি বলেছেন, নির্বাচন-পরবর্তী অস্থিরতায় অংশ নেওয়া তার পক্ষে খুব বিপজ্জনক হবে। পরক্ষণে বলেন, ‘আমি ঠিক সেখানেই নিহত হব।’