প্রথমবার দেবীবরণ করে যা বললেন স্বস্তিকা

Sastika-datt-670ca537e59ab.jpg

বিনোদন ডেস্ক : এবারের পূজা নিয়ে কোনো উত্তেজনা ছিল না। পূজাটা যেন নিমেষেই কেটে গেল। এভাবেই যেন এবারের পূজাটা হওয়ার ছিল বলে জানিয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত।

পূজার কাজ নিয়ে মেতে ছিলেন তিনি। কখনো পূজা পরিক্রমা, কখনো আবার কোনো ব্র্যান্ডের হয়ে প্রচার। অবশেষে দশমীতে নিজের জন্য পূজামণ্ডপে গেলেন এ অভিনেত্রী। জীবনে প্রথমবার দেবীবরণ করলেন স্বস্তিকা দত্ত। সে কথা জানালেন আনন্দবাজারের এক সাক্ষাৎকারে—আমি এখনো দেবীবরণ করার ঘোর থেকে বেরোতে পারিনি। কিন্তু এবার দেবীবরণ করার সিদ্ধান্ত কেন?এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বস্তিকা বলেন, এ বছর মায়ের থেকে একটু বেশি শক্তি দরকার। একটু বেশি আশীর্বাদ ও ভালোবাসা দরকার। তিনি বলেন, যত বড় হচ্ছি, নিজের ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধও বাড়ছে। সে জন্যই মায়ের হাতটা মাথার ওপর দরকার। হঠাৎই ঠিক করলাম মাকে বরণ করব। কোনো পরিকল্পনা ছিল না। পরিকল্পনা করে আমি যা-ই করি, সেগুলো ভেস্তে যায়। তবে এ বরনের অনুভূতি অসাধারণ। গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল।

নিয়মানুযায়ী দেবীকে বরণ করেন সধবা নারীরা। তবে গত কয়েক বছরে সেই ছক ভেঙেছেন বহু নারীই। স্বস্তিকাও সেই পথেই হাঁটলেন। অভিনেত্রী বলেন, প্রথমে একটু অদ্ভুত লাগছিল— সব বিবাহিত নারীর মধ্যে আমি একা। কিন্তু তেমন কোনো অস্বস্তি নেই। ইচ্ছে ছিল বরণ করার। করেছি। তিনি বলেন, নিয়ম বিরুদ্ধ অনেকেই বলতে পারেন। তবে নিয়ম মেনে কে কী করছেন, সেটি সবাই দেখতে পাচ্ছেন।

স্বস্তিকা দত্ত বলেন, ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাতে মানুষের তৈরি করা নিয়ম ভাঙতে আর কী! বিবাহিত হলেই শুধু বরণ করতে পারি— এটা আমি বিশ্বাস করি না।

স্বস্তিকার বলেন, নারী স্বাধীনতার প্রতীক সিঁদুর খেলা। এর জন্য বিবাহিত বা সধবা নারী হতেই হবে এর কোনো মানে নেই। তিনি বলেন, মা দুর্গা তো যুদ্ধ করেছিলেন। নারীশক্তির জয়কে সিঁদুর খেলার মাধ্যমে আমরা উদযাপন করি। এই লাল রঙটাকে আমরা খুব পবিত্র হিসাবে মানি। আসলে এই বাঁধা গতের ধারণাগুলো বাদ দেওয়া প্রয়োজন। আমি যেটা ঠিক মনে হয় সেটাই করি। আর নাম থাকলে বদনামও হবে।

দেবী দুর্গার পূজা করলেও নিজের জন্য তেমন কিছু চাইতে পারেননি বলে জানান স্বস্তিকা দত্ত। প্রতিমার সামনে গিয়ে অপলক দৃষ্টিতে কেবল তাকিয়ে ছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর বলেন, আমি নিজের জন্য কিছু চাইতে পারি না সঙ্গে সঙ্গে। হয়তো চাওয়ার অনেক কিছুই আছে। কিন্তু সেই সময়ে স্তব্ধ হয়ে যাই।

Share this post

scroll to top