‘ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবে না ইরাক’

ezgif-6-c7b7e4f34a-670cac7469a4d.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: ইরাকের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ জামাল রশিদ বলেছেন, তার দেশ ইরানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হামলার জন্য ‘লঞ্চ প্যাড’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।  সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তেহরানে আক্রমণের ছক কষছে ইসরাইল।  এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অজানা আশঙ্কা বিরাজ করছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহর নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরাকি প্রেসিডেন্ট লেবাননে এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

গাজা এবং লেবানন যুদ্ধের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে একে অপরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে ইরান ও ইসরাইল। গত ১ অক্টোবর হিজবল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর বদলা নিতে ইসরাইলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। কোনও প্রক্সি নয়, সরাসরি ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরানে।

প্রতিশোধ হিসেবে ইরানকে যোগ্য জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যে সিরিজ বৈঠকে নেমেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস।

মধ্যপ্রাচ্যে ইরাকসহ বিভিন্ন দেশে মার্কিন সেনাঘাঁটি রয়েছে।  ইসরাইলকে সমর্থন দিতে সেখানে রীতিমতো শক্তি বাড়াচ্ছে বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  তেহরানের আশঙ্কা, এই অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতি উত্তেজনা আরো বাড়াবে।

এছাড়া উপসাগরীয় দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরান বলেছে, যদি কোনো দেশ ইরানে হামলার জন্য তার আকাশব্যবস্থা উন্মুক্ত করে দেয়, তাহলে ওই দেশকে হামলা করা ‘নায্য পদক্ষেপ’ হিসেবে ধরে নিবে তেহরান।  অর্থ্যাৎ, ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় ইসরাইলকে কোনো রকম সাহায্য করলে তার ফল ভুগতে হবে।

ইতোমধ্যে আরব দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে, ইরানের তেল খনিতে হামলা না করতে। দেশগুলো জানিয়েছে, তাদের মাটি কিংবা সেনাঘাঁটি ব্যবহার করে যেন তেহরানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। যদি এমনটা হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

Share this post

scroll to top