‘তুমি কি আরও একবার গালে ঠোঁট ছোঁয়াবে’

2235-6706394426421.jpg

বিনোদন ডেস্ক : পর্দার রসায়ন নাকি পর্দাতেই শেষ? তথাগত ঘোষ ক্যামেরার শাটার টিপতেই ‘বহুরূপী’র অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় ‘তুমি যে আমার’ মেজাজে। এভাবেই নিজেদের খুঁজলেন এ জুটি। পূজা মানেই নতুন শাড়ির প্রেম। পূজা মানেই অঞ্জলির ফুল ভালো লাগার মানুষ ছুঁয়ে যাওয়া। শারদীয়ার এই আকর্ষণ একুশ শতকেও অমোঘ। এ বছরের পূজা ফ্যাশনের শুট করতে এসে প্রেম ভাব বুঝিয়ে দিলেন পর্দার ‘বিক্রম’ ও ‘ঝিমলি’। বাস্তবে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও কৌশানী মুখোপাধ্যায়।

অভিনেত্রী অভিষেক রায়ের ভাবনায় সাজে তাক লাগালেন! রানি রঙা সিল্কের শাড়ি পরে দাঁড়াতেই তাকে দেখে মুগ্ধ শিবপ্রসাদ। নায়কই বেছে নিয়েছিলেন সাদা পাঞ্জাবি। তাতে রানি রঙের সুতার ফুল। আর সাদা চোস্ত। এই সাজে এসেই তড়িঘড়ি কাছে টেনেছেন নায়িকাকে! যেন চোখে হারাচ্ছেন। পাছে কৌশানী বেহাত হয়ে যান?

এই সাজ কোন দিনের উপযুক্ত? এমন প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। দুই তারকার একযোগে উত্তর— সপ্তমীতে সাদা রঙ মানায় ভালো। যেন কাশ ফুল কাশ ফুল আমেজ। তাতে লালের ছোঁয়া মানেই উৎসবের শুরু। এই সাজ আমাদের পছন্দ।

অষ্টমী মানেই মহাসাজ। সব আলো যেন তাদের ঘিরে থাকে— এমন মন নিয়ে সাজবদল দুজনের। কৌশানী উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন হলুদ কাতান সিল্ক শাড়িতে। শিবপ্রসাদ সঙ্গত করলেন তসরের হলুদ পাঞ্জাবি আর ধুতিতে। নতুন সাজে ক্যামেরার সামনে এসে দুজনেই হারিয়ে গেলেন একে অন্যের চোখে। ‘বিক্রম’-এর হাত ‘ঝিমলি’-এর কোমরে। ঘোর লাগা স্বরে শিবপ্রসাদের খুনসুটি— তুমি কি আরও একবার গালে ঠোঁট ছোঁয়াবে? শুনেই টকটকে লাল কৌশানী!

এভাবেই অস্থির সময়েও একমুঠো প্রেম ছড়িয়ে গেলেন তারা। শিবপ্রসাদ বললেন, প্রেম, রহস্য, লড়াই ও আবেগ— সব থাকছে উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থার এবারের পূজার ছবিতে। কেবল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষা।

অবসরে চায়ে চুমুক শিবপ্রসাদের। নায়িকাকে চোখে হারাচ্ছেন? জবাব এলো— মা, ‘আজ বসন্তের গায়েহলুদ’ দেখে স্ত্রীকে ডেকে বলেছে— ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দে। শুনে দুষ্টু হেসে নায়িকার প্রশ্ন— কবে ঘরে তুলছ?

Share this post

scroll to top