দামেস্কে ইসরাইলি বিমান হামলায় দুই বিদেশিসহ নিহত ৭

ezgif-1-96188c552f-6705f38e411a6.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পশ্চিমে আল-মাজ্জেহ এলাকার বিদেশি দূতাবাস এবং নিরাপত্তা সদর দপ্তরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, এতে শিশুসহ অন্তত সাতজন বেসামরিক লোক নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে মৃতদেহ উদ্ধারে খোঁজ করছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ডেইলি সাবাহ।

ব্রিটেন ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ‘ইসরাইল একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্যবস্তু করেছে। যেখানে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস এবং হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কর্মীরা ঘন ঘন আসে।  সেইসাথে ভবনের সামনে পার্ক করা একটি গাড়িকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়’।

অবজারভেটরির প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, এখন পর্যন্ত নয়জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশুসহ পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক।

তাদের জাতীয়তা উল্লেখ না করেই অবজারভেটরি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত দুজন বিদেশী।

অন্যদিকে দামেস্কে ইরানি দূতাবাস জানিয়েছে, নিহতদের কেউই ইরানি নয়।

মঙ্গলবার, সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অরক্ষিত বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই নৃশংস হামলায় কঠোর নিন্দা করেছে। ইসরাইলকে এই অঞ্চলকে বিপর্যয়কর পরিণতি হবে এমন একটি সংঘাতের দিকে টেনে আনা থেকে বিরত করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আঘাতপ্রাপ্ত ভবনে বসবাসকারী ইলেকট্রিশিয়ান আদেল হাবিব (৬১) বলেন, হামলা ছিল ‘বিচার দিবসের’ মতো।

হাবিব বলেন, ‘আমি বাড়ির পথে ছিলাম যখন বিস্ফোরণ ঘটে এবং যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাই আমি আর আমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। এগুলো আমার জীবনের দীর্ঘতম পাঁচ মিনিট ছিল যতক্ষণ না আমি আমার স্ত্রী, সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের কণ্ঠস্বর শুনিনি’।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ভবনটির প্রথম তিন তলা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ধ্বংসাবশেষ পড়ে প্রায় ২০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এর আগে জানিয়েছে যে সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী দামেস্কের আশেপাশে ‘শত্রুর’ লক্ষ্যবস্তুকে বাধা দিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ সংঘাত শুরুর পর থেকে সিরিয়াতে ইরানপন্থি সশস্ত্রগোষ্ঠীদের ওপর ইসরাইলি বিমান হামলা তীব্র হয়েছে।

Share this post

scroll to top