বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। ২০১৮ সালে সড়ক নিরাপদ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার বিরোধী একটি স্ট্যাটাসের জেরে গ্রেফতার হন তিনি।
গ্রেফতারের পর চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয় এই অভিনেত্রীকে। ২০১৮ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় সিএমএম আদালতে জামিনে মুক্তি পান নওশাবা।
জানা যায়, নওশাবা ২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারবিরোধী এক পোস্ট করায় গ্রেফতার হন। তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো বেশ আলোচিত হয়। কিন্তু নওশাবার ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন, এমনকি মানসিক-শারীরিক অবস্থার তখন কি হয়েছিল সে কথা কেউ জানেন না। কারণ এ নিয়ে পরে টু শব্দটিও করেননি অভিনেত্রী।
সেসময় অনেকেই এ বিষয়ে সমালোচনা করলেও তার পাশে দাঁড়াননি কেউই। কারাগার থেকে ফিরে চেষ্টা করেছেন নিজেকে আবারো মেলে ধরার। কিন্তু তার মনে যে গভীর ক্ষত জমা হয়েছিল তা তার ব্যক্তিগত, সামাজিক জীবন, এমনকি মানসিকভাবেও প্রভাব ফেলেছিল। সেই কথা কাউকে না বলতে পেরে ভেতরে এক ভারি বোঝা নিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। সে সময়ের ক্ষমতাবানরা এখন ক্ষমতাহীন। তাই অকপটে অনেক কথাই বলতে চাইছেন নওশাবা।
সোমবার নিজের কাজ ও গ্রেফতারের দিনগুলোর কথা জানিয়েছেন নওশাবা। প্রচারের অপেক্ষায় থাকা সেই শো এর একটি ছবি পোস্ট করে তানভীর তারেক জানিয়েছেন সেকথা।
তিনি সেখানে লেখেন, ২০১৮ সালে প্রথম রুলিং পার্টির অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী শিল্পী হলেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। এরপর আয়নাঘরে তাকে ২১ দিনের নির্যাতন! অতঃপর রিহ্যাবে ছয় মাস। নিজের মেয়েকেই চিনতে পারতেন না! সেই সময় থেকে একমাত্র কন্যাকে নিয়ে গত ৬ বছরে ২০ বারের ওপরে বাসা বদলেছেন। কেউ বাসা ভাড়া দিতে চায়নি, সংসার ভেঙেছে! নিজের বাড়িতে জায়গা হয়নি, কারণ ভাই ও আত্মীয়রা নিরাপদ মনে করেননি। বন্ধুর নামে বাসা ভাড়া নিয়ে বোরকা পরে ঢুকতেন! কোনো আপস করেননি। অনেক রকম অফার এসেছে! মামলা করেছেন আগেই, যা এখনো চলমান। গল্পগুলো আসছে। শোটি দ্রুতই প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন তানভীর।