বিনোদন ডেস্ক : ভারতের একটি শহরে সেখানকার মানুষ বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনকে ঈশ্বরের মতো ভক্তি ও শ্রদ্ধা করেন। এক বিশেষ কারণে অমিতাভকে সেই শহরবাসী পূজাও করেন। সম্প্রতি এই অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন পরিচালক অপূর্ব লখিয়া।
জৈসলমেরে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে সেই সময় ‘মুম্বাই সে আয়া মেরা দোস্ত’ ছবির শুটিং করছিলেন পরিচালক অপূর্ব লখিয়া। শহরজুড়ে তখন খরা চলছিল। কিন্তু মুহূর্তে বদলে যায় পরিস্থিতি। মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল হঠাৎ। এ ঘটনার পর থেকেই নাকি সেখানকার মানুষের চোখে ঈশ্বরসম হয়ে ওঠেন অমিতাভ বচ্চন।
পরিচালক অপূর্ব লখিয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা জৈসলমেরে শুটিং করছিলাম। প্রচণ্ড খরা চলছিল শহরজুড়ে। নববর্ষ পালনের জন্য সেখানে জয়াজি ও শ্বেতার সঙ্গে অমিতাভ বচ্চন এসেছিলেন। তিনি বলেন, মরুভূমিতেই শুটিং করছিলাম আমরা। দূর থেকে টের পাওয়া যাচ্ছিল, শাহেনশাহ আসছেন। কারণ জৈসলমেরে অত দামি গাড়ি সচরাচর দেখা যায় না। শহরে অমিতাভ বচ্চনের গাড়ি প্রবেশ করতেই সেদিন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গিয়েছিল। আর অভিনেতা গাড়ি থেকে নামতেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি।
পরিচালক বলেন, আপনারা বিশ্বাস করবেন না। আমি মায়ের নামে দিব্যি করে বলছি— তিনি আমাদের ছবির সেটে এলেন, আর কালো মেঘে আকাশ ঢাকল। ঠিক যেমন ‘লগান’ ছবিতে ‘কালে মেঘা’ গানের দৃশ্যটি ছিল। গাড়ি থেকে তিনি নেমে অভিষেককে জড়িয়ে ধরতেই ঠান্ডা হাওয়া দিতে শুরু করেছিল। এত বৃষ্টি হয়েছিল যে, নদীর পানি উপচে পড়ছিল।
এর পরেই এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটে। অপূর্ব বলেন, হোটেলের বাইরে প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন এক এক করে। সবাই অমিতাভ বচ্চনের পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে চাইছিলেন। ওরা ভাবছিলেন— হয়তো স্বয়ং ঈশ্বরের আবির্ভাব হয়েছে। দুদিন আগেও জৈসলমেরে পানির অভাব ছিল। আর তিনি আসার পরেই পানিতে একাকার হয়ে যায়। আমার নিজের চোখে দেখা ঘটনা।
উল্লেখ্য,পরিচালক অপূর্ব লখিয়া ২০০৫ সালে ‘এক আজনবী’ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন।