ক্রীড়া ডেস্ক : ২০২৩ সালে বাংলাদেশ দলে অভিষিক্ত তানজিম হাসান এ পর্যন্ত ওয়ানডে ও টি ২০ মিলে ৩৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এই বাঁ-হাতি ওপেনার ইমার্জিং ক্রিকেটারের পুরস্কার পেলেন গত পরশু রাতে শেষ হওয়া বিপিএলে। এবারই প্রথম সেরা ইমার্জিং ক্রিকেটারের পুরস্কার দেওয়া হলো। সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার এই পুরস্কার পাওয়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।
তানজিদের বয়স ২৪। আগেই ইমার্জিং বয়স পার করেছেন। সাধারণত ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার ধারাভাষ্যকারদের মূল্যায়নে নির্ধারণ করা হয়। বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, এবারের ধারাভাষ্যকাররা বিপিএলের সেরা তালিকা তৈরি করেছেন। তবে অভিজ্ঞ ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী বললেন ভিন্ন কথা, ‘সব পুরস্কার বিসিবি থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি বলে যে, ধারাভাষ্যকাররা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন, তাহলে ভুল হবে।’
বরিশালের হয়ে ১১ ম্যাচে কিপিং করে ১৪টি ডিসমিসাল অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক মুশফিকের। কিপারদের মধ্যে তিনি সবার উপরে। উইকেটকিপার হলে ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। এবার সেরা ব্যাটার হয়েছেন খুলনা টাইগার্সের মোহাম্মদ নাঈম (৫১১)। সর্বোচ্চ উইকেট তাসকিন আহমেদের (২৫)। টুর্নামেন্টসেরা মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৪ ম্যাচে ৩৫৫ রান এবং উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। মিরাজ বলেন, ‘নিজের দলকে ফাইনালে তুলতে পারলে আরও ভালো লাগত। চেষ্টা করেছি সেরাটা দিয়ে খেলার। আমার জন্য এটা বড় পুরস্কার।’ সেরা ইমার্জিংয়ের পুরস্কার পাওয়া তানজিম জানান, এই পারফরম্যান্স জাতীয় দলেও ধরে রাখার চেষ্টা করবেন।