সুমাইয়াদের জন্য মনোবিদ আনল বাফুফে

sabina-sumaiya-67a41e8fc47d2.jpg

ক্রীড়া ডেস্ক : নারী ফুটবল দলের সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। বাটলার কাল সাফ বলে দিয়েছেন, ‘হয় ওরা (সিনিয়র ফুটবলাররা) থাকবে, নয় আমি।’ বাফুফে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই টানাপোড়নে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারী দলের সদস্যরা।

সাফজয়ী দলের অন্যতম খেলোয়াড় জাপানি বংশোদ্ভূত মাতসুশিমা সুমাইয়া ও ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও বুলিংয়ের শিকার হওয়ার যন্ত্রণা তুলে ধরেছেন। আগের দিন এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ওই রাতেই বাফুফে নারী খেলোয়াড়দের নিয়ে মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার সকাল থেকে মনোবিদ মেহরিন মোস্তফা মেয়েদের নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।

জানা গেছে, বাফুফে ভবনে সেই মনোবিদ সবার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছেন। বোঝার চেষ্টা করছেন, কার কী সমস্যা। মানসিকভাবে মেয়েরা যেন ভেঙে না পড়েন, সেই চেষ্টা চলছে। বাফুফের একটি সূত্রে জানা গেছে, রাতেই সুমাইয়ার সঙ্গে কথা বলেন বাফুফের কজন কর্মকর্তা। তার কী সমস্যা, সেটা বোঝার চেষ্টা করেন তারা।

লিগ্যাল ডিপার্টমেন্টকে বলা হয় সুমাইয়ার বিষয়টি দেখতে। পরে একজন মনোবিদকে আনা হয় ফুটবলারদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে। গত পরশু এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে সুমাইয়া দাবি করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে কাল মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের এই ফরোয়ার্ড। জিডি করার সময় সুমাইয়ার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) মিডিয়া ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ নওমী। বাটলারের সঙ্গে সিনিয়র নারী ফুটবলারদের বিরোধে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে বাফুফে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

Share this post

scroll to top