ডেস্ক রিপোর্ট: বান্দরবানের লামায় ছয় বছর আগে করা খুনের মামলা তুলে নিহতের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারটির দাবি, খুনের সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এ সুযোগে আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। দিচ্ছে প্রাণনাশের হুমকিও। এর জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।
সোমবার বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে খুন হওয়া ব্যবসায়ী আলমগীর সিকদারের ভাই ও ছেলে এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে নিহতের ভাই ও মামলার বাদী মোহাম্মদ দস্তগীর সিকদার মানিক বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই রাতে লামা সরই পুলাং পাড়ায় খুন হন আলমগীর। এ খুনের মূল হোতা সেলিম উদ্দিন। খুনের ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে সায়মন ত্রিপুরা ও বীর বাহাদুর ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে। সেলিম উদ্দিনসহ ছয়জন মিলে আলমগীরকে হত্যা করেছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বীকারোক্তি দেয় তারা। পরবর্তীতে গ্রেফতার হওয়া সাবের আহমদও একই স্বীকারোক্তি দেয়।
ত্রিপুরা ও সাবের আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া পুলিশ তদন্তে হত্যার আগের দিন বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এর প্রমাণ পায়। এমনকি যে কামারের দোকান থেকে দা বানিয়েছে সে ফুটেজও পায় তদন্তকারী কর্মকর্তা। তারপরও খুনি সেলিম, জোড়া খুন হত্যা মামলার আসামি ভেট্টু ও জমির আজ পর্যন্ত পলাতক। তাদের পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলেও তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরব।
দস্তগীর সিকদার মানিক বলেন, দীর্ঘ ছয় বছরেও আমার ভাইয়ের মূল হত্যাকারীরা গ্রেফতার হয়নি। তারা ক্রমাগত মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। সবশেষ গত বছরের ২২ আগষ্ট ঢাকার মতিঝিল থেকে কুরিয়ারে স্বপরিবারে নির্মূল করার লিখিত হুমকি পাঠায়। আমাদের গোটা পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
এ সময় দ্রুত হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও শস্তির দাবি জানান তিনি।