১৫ মাস পর গাজাবাসীর চোখেমুখে আনন্দ অশ্রু

palestine-67975a75f2963.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ ১৫ মাস পর উত্তর গাজায় নিজ বাড়িতে ফিরছেন ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তির বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়ার পর ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফেরার অনুমতি দিয়েছে ইসরাইল।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) হামাস প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় দফায় চার ইসরাইলি নারী সেনাকে মুক্তি দেয়। এর বিনিময়ে ২০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। তবে, এরপরই ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।

ইসরাইল বলছে, হামাসের হাতে জিম্মি বেসামরিক ইসরাইলি আরবেল ইয়াহুদের মুক্তির যে পরিকল্পনা, সেটি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত গাজার বাসিন্দাদের উত্তর দিকে যেতে দেওয়া হবে না।

 পরে রোববার আরও ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছে। এরপরই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সোমবার থেকে ফিলিস্তিনিরা গাজার উত্তরাঞ্চলে ফেরা শুরু করতে পারবেন।

 যুদ্ধবিরতির পরই গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরতে চাইছেন। এ জন্য তাদের নেটজারিম করিডর পার হয়ে আসতে হবে। কিন্তু ইসরাইল সেখানে উপকূলীয় একটি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল। তারা উত্তর গাজায় ফিরতে চাওয়া ফিলিস্তিনিদের মহাসড়ক পার হতে দিচ্ছিল না।

 তবে সোমবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ফিলিস্তিনিদের পায়ে হেঁটে আল-রশিদ এবং সকাল ৯টা থেকে যানবাহনে সালাহ আল-দিনের করিডোর অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে অনেকে এসব করিডোর অতিক্রম করেছে।

আলজাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, উত্তর গাজায় ফিরতে বাধা দেয়া হবে না ইসরাইলের এমন ঘোষণার পর নেটজারিম করিডোরের কাছে অপেক্ষারত হাজারো ফিলিস্তিনিরা আনন্দে ফেটে পড়েন।

 বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা এই মুহূর্তটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেন। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মতোই আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। এটিও তাদের জন্য একটি বিজয়ের দিন।

 আজকের দিনটিকে ‘বিজয়ের দিন’ উল্লেখ করে উত্তর গাজায় ফিরে আসা বাস্তুচ্যুত এক ফিলিস্তিনি বলেন, ‘আমি আমার ঘর পুনর্নির্মাণ শুরু করব। আমরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আবার নতুন করে তৈরি করব।’

Share this post

scroll to top