ক্রীড়া ডেস্ক : দেশের একমাত্র ক্রীড়া বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অভিজ্ঞ কোচরা কাজ করেন এখানে। সেই তারাই এখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মুখী। এনএসসির বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সেক্রেটারি ফেডারেশন) পদ চান তারা।
সম্প্রতি, এমন আবেদন করেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে হকি কোচ মওদুদুর রহমান ও মশিউর রহমান, টিটি কোচ খন্দকার মোস্তফা বিল্লাহ, জুডো কোচ আসাদুজ্জামান খান, অ্যাথলেটিক্সের শাহাদাত হোসেন ও মোবারক হোসেন, কারাতের হোসেন খান, ভলিবলের শফিকুর রহমান ও সোলেমানসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সম্প্রতি ৪২টি শূন্য পদ পূরণের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৬টি কোচের পদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারটি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সেক্রেটারি ফেডারেশন)। কোচ দ্বিতীয় শ্রেণি হলেও প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রথম শ্রেণির। বিকেএসপির বেশ কয়েকজন কোচ প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদেও আবেদন করেছেন। জানা গেছে, কোচদের অবসর-পরবর্তী জীবনে আর্থিক নিশ্চয়তা নেই বিকেএসপিতে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে কোচরা অবসরের পর পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকেন। বিকেএসপিতে কোচরা নবম গ্রেডে যোগদান করেন।
এরপর পদোন্নতি পেতে দেড় যুগও লেগে যায়। অন্যদিকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে দশম গ্রেড (দ্বিতীয় শ্রেণি)। তাই এক গ্রেড অবনমন করেও বিকেএসপি থেকে অনেক কোচ এনএসসিতে আসতে চান অবসরকালীন সুবিধা ও নিয়মিত পদোন্নতি পাওয়ার জন্য।
সাবেক টিটি তারকা ও এক যুগ বিকেএসপিতে কোচ হিসাবে কাজ করা মোস্তফা বিল্লাহ বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অন্যতম বড় অংশীদার। বিকেএসপি ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দুই প্রতিষ্ঠানই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলি সংশোধন ও পরিবর্তনের এখতিয়ার রাখে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রয়োজন বোধ করলে আমাদের আবেদন বিবেচনা করতে পারে আবার না-ও পারে।’