ইমরান খানের আল-কাদির ভার্সিটির নিয়ন্ত্রণ এখন আমার হাতে

1-678b38b3ec515.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী সাবেক ফার্স্ট লেডি বুশরা বিবিকে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আদালতের এমন রায়ের পরপরই খানের প্রতিষ্ঠিত আল-কাটির ভার্সিটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ।

শুক্রবার মামলার রায় ঘোষণার পর ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত আল-কাদির ভার্সিটি ‘এখন আমার নিয়ন্ত্রণে’ বলে ঘোষণা দেন মরিয়ম।

মরিয়ম ওকারা বিশ্ববিদ্যালয়ে হোনহার স্কলারশিপ প্রোগ্রামের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন, ‘আদালত ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের মামলার রায়ের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে।’

এদিকে একটি জবাবদিহিতা আদালত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা খানকে ১৪ বছরের সাজা এবং তার স্ত্রীকে মোটা অংকের জরিমানার পাশাপাশি সাত বছরের সাজা দিয়েছে।

রায় অনুসারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘দুর্নীতিমূলক অনুশীলন’ এবং ‘কর্তৃত্বের অপব্যবহারের’ জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে সাবেক ফার্স্ট লেডিকে খানের সঙ্গে ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর বিচারক, কর্তৃপক্ষকে আল-কাদির ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটির হেফাজত সিএম মরিয়মের চাচা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন ফেডারেল সরকারের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আল-কাদির ভার্সিটির নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ভার্সিটিতে ধর্মীয় এবং প্রচলিত শিক্ষা পাবেন এবং আমি তাদের বৃত্তি এবং ল্যাপটপ প্রদান করব।’

মরিয়ম আরও বলেন, ‘আমি পেট্রোল বোমা নয়, আমাদের বাচ্চাদের বৃত্তি দিতে চাই। যে শিশুদের পেট্রোল বোমা দেওয়া হয়েছে তারা এখন কারাগারে রয়েছেন। তারা পুলিশকে আক্রমণ করত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা যায় দেখুক না কেন তা অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে তাদের উত্সাহিত করা হয়েছিল।’

বক্তৃতায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মরিয়ম বলেন, ‘আপনাদের শক্তি আমার প্রয়োজন কারণ; আপনারাই আমার মূল শক্তি। এই প্রদেশে উন্নয়ন আনতে, আমি আপনার উৎসর্গের উপর নির্ভর করি।’

Share this post

scroll to top