ক্রীড়া ডেস্ক : নাহিদ রানা এবারের বিপিএলে শুরুটা করেছেন বেশ ভালো। গতি দিয়ে নাভিশ্বাস তুলেছেন ব্যাটারদের। তবে যে জন্যে তিনি পরিচিত সবচেয়ে বেশি, তার গতিটা শেষ কয়েক ম্যাচ ধরে পড়ে গেছে বেশ খানিকটা। টানা ম্যাচ খেলার ধকলটা পরিষ্কার। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, নাহিদকে কি বিশ্রাম দেবে না রংপুর?
বাড়তি গতি সবসময়ই ক্রিকেটে পার্থক্য গড়ে দেয়। এমন একজন বোলার আপনার থাকা মানে রীতিমতো সোনার ডিম পাড়া হাস। সেই হাসটাকে টানা খেলিয়ে পেট কেটে দেওয়ার দশাই হয়েছে রংপুর রাইডার্সে।
৩০ ডিসেম্বর বিপিএলের প্রথম ম্যাচটা খেলেছেন তিনি। এরপর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১ দিনে তিনি খেলেছেন ৬টি ম্যাচ। ছাপটা তার বোলিংয়ে পড়েছে পরিষ্কার। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের আশেপাশে তার গড়পড়তা গতি। সেই তার গতি শেষ দুই ম্যাচে নেমে এসেছে ১৩৫ কিলোমিটারের আশপাশে। তাই প্রশ্ন উঠেছে—তার বিশ্রাম প্রয়োজন কি না।
তবে রংপুর রাইডার্সের কোচ মিকি আর্থারের বিশ্বাসটা আবার উলটো। টি-টোয়েন্টিতে মোটে ৪ ওভারই বল করতে হয়, এ আর এমন কী! অভিমত রংপুর কোচের।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখব তার কী অবস্থা। খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া ও খেলানোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখতে হয়। বেশি বল করানো বা কম বল করানোর মধ্যেও আছে। মাত্র ২৪টা বল করতে হয় ম্যাচে, আমরা দেখব এটা সে কীভাবে করে। তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ পেলে আমরা তা দেব।’
তিনি আরও যোগ করেন নাহিদের বয়সের প্রসঙ্গটাও। তার কথা, ‘আমরা দেখব সামনে কী হয়। খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়া এবং খেলানোর ব্যাপারটি মজার। আন্ডারবোলিং (কম বোলিং) বা ওভার বোলিংয়ের (বেশি বোলিং) ব্যাপারটিও। তার বয়স মাত্র ২৪। এখনই সে দারুণ। আমরা যদি তাকে বিশ্রাম দেয়ার সুযোগ পাই তাহলে দিবো। এখানে দাঁড়িয়ে বলা খুব কঠিন যে আমরা কাদের বিশ্রাম দিবো অথবা কাদের খেলাবো।’
নাহিদের রংপুর অবশ্য পরের ১৪ দিনে খেলবে ৩টি ম্যাচ। যার ফলে যথেষ্ট বিশ্রাম নিয়েই মাঠে নামতে পারবেন তিনি। কোচ আর্থার জানালেন, কারও ভেতরে ক্লান্তি আছে বুঝতে পারলেই বিশ্রাম দেবেন তিনি।
তার কথা, ‘আমরা খুব ভালো একটি দল পেয়েছি, সেভাবেই সাজিয়েছি দলটি। আমাদের মাঝের ওভারগুলোতে দুইজন ফাস্ট বোলার আছে। আমাদের স্পিনাররাও ভালো পারফর্ম করছে। এই ধারা বজায় রাখাটাও জরুরি। আমরা তাকে বিশ্রাম দেই বা না দেই, না খেললে বুঝতে পারব না সে ক্লান্ত আছে নাকি নেই। আমরা দেখব পরের রাউন্ডে সব কীভাবে যায়।’