ক্রীড়া ডেস্ক : তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। তার বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধ্যায় এখন অতীত।
তবে বাংলাদেশকে এখন তাকাতে হবে ভবিষ্যতের দিকে। সে ভবিষ্যৎ বিসিবিকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ৫ প্রশ্নের সামনে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই এই প্রশ্নগুলোর সমাধান খুঁজতে হবে দলকে।
বাংলাদেশের শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যান পারফরম্যান্সের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে। তামিমের বিকল্প হিসেবে ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকে দলে সুযোগ পাওয়া তানজিদ হাসান ধারাবাহিক হতে পারেননি। তার সঙ্গী সৌম্য সরকার ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন শেষ কিছু দিনে। তবে তাকেও অধারাবাহিকের কাতারেই ফেলা যায়। এদিকে সাদা বলের ক্রিকেটে লিটন দাসের ফর্মও বেশ বাজে। ২০২৪ সালে তার গড় ছিল মাত্র ১৩.১৩।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ইনজুরি থেকে ফিরে আসা দলের জন্য স্বস্তির বিষয় হতে পারে। তবে শেষ এক বছরে সব ধরনের ক্রিকেটে তার ফর্মও খুব বেশি ভালো নয়। যার ফলে টপ অর্ডার প্রশ্নের সমাধান তার ফিরে আসাটাও দিতে পারছে না আপাতত।
আপাতদৃষ্টিতে মিডল অর্ডারকেই দলের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা ধরা হয়। সেই মিডল অর্ডারেই খেলতে হবে সাকিবকে। বোলিংয়ে নিষিদ্ধ থাকলে তিনি শুধুমাত্র একজন ব্যাটার হিসেবে খেলবেন। সেক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা আছে। শেষ এক বছরে সাকিব ব্যাট হাতে বড্ড ম্লান। তাই তিনি বোলিং না করতে পারলে কি তাকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত? এ প্রশ্নও চলে আসছে নির্বাচকদের সামনে।
তাসকিন আহমেদ পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এখন। নাহিদ রানা দলের নতুন অস্ত্র, বিপিএলেও আছেন দারুণ ছন্দে। মুস্তাফিজুর রহমান ডেথ ওভারে অপরিহার্য অংশ দলের বোলিংয়ের। এদিকে নতুন বলে দলের সবচেয়ে ভালো বোলার শরিফুল ইসলামকে কীভাবে বাদ দেবেন দল থেকে?
তৃতীয় পেসার হিসেবে হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান প্রস্তুত। এদিকে এনসিএলের পর থেকে খেলায় না থাকলেও এবাদত হোসেনকে ভাবনায় রাখা যেতে পারে। সব মিলিয়ে পেস বোলিংয়ে ‘কাকে রেখে কাকে খেলাব’ এই প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে পারেন নির্বাচকরা।